
হিজলা প্রতিনিধি:
বরিশালের হিজলা উপজেলার হরিনাথপুর বাজারে বুধবার, সকাল ১১ টায় স্থানীয় জনগণের ব্যানারে ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম, বিএনপি নেতা সাইদুর রহমান বাদল মুন্সী ও ফ্যাসিস্টের দোসর যুবলীগ নেতা জনির বিরুদ্ধে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে নুর হোসেন সুজন বলেন, আমি বরিশাল জেলার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এবং বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী। আমার রাজনৈতিক কেরিয়ার ধ্বংস ও আমার পরিবারের সম্মান খুন্ন করার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ মাজহারুল, বাদল মুন্সী জনিরা পরিকল্পনা করছে এবং বারবার ব্যর্থ হয়েছে।
মাজহারুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা জনি খন্দকার ২০২১ সালে রাতের আধারে আমার ড্রেজার থেকে জোরপূর্বক নতুন ১২০ পিচ ড্রেজারের পাইপ ও নগদ ২২১৮৫০/টাকা নিয়ে যায়। এই মাজহারুল ৫ আগস্টের আগে এবং পরে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে প্রতক্ষ এবং পরোক্ষ্য ভাবে জড়িত, এলাকার যুব সমাজকে মাদক দিয়ে ধ্বংস করছে।
হরিনাথপুরে আলহাজ্ব আব্দুল জব্বার মেহমান কলেজ এর চাকরীরত অবস্থায় ৫,০০,০০০/- টাকা দুর্নীতির দায়ে কর্তৃপক্ষ কলেজ থেকে সোকজ করে বের করে দিয়েছিল। গত বছর ৬ই আগস্ট জব্বার মেহমান কলেজ পিন্সিপালকে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কলজে দখল করে নিজেকে স্বঘোষিত পিন্সিপাল হিসাবে দাবী করেন এই মাজহারুল।
মাজহারুল ইসলামের নিকট হতে চোরাইকৃত পাইপ ও নগদ টাকার সমাধান চাইলে বাদল মুন্সী ও মাজহারুল আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বলে দেশে ব্যবসা করতে প্রতি মাসে ২,০০,০০০/- টাকা ও আমার ইট ভাটার ৫০% পার্টনারশীপ লিখে দিতে হবে, না দিলে আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ও আমার পরিবারের সামাজিক মানসম্মান নষ্ট করার জন্য যা যা করার দরকার তাই করবে এবং আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে। মাজহারুল ফ্যাসিস্টে আমলের ইউনিয়ন পরিশোধের মেম্বার ও আওয়ামী চেয়ারম্যান তৌফিক এর দোষর। তিনি অর্থের বিনিময় ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহব্বায়কের পদ কিনে নেয়। এর অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। আমরা এলাকার সাধারণ জনগণ এই চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ীর হাত থেকে মুক্তি চাই।