হেলাল উদ্দীন (মিঞাজী) নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধিঃ
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনীতির মাঠে উত্তেজনা বাড়ছে বান্দরবান ৩০০ নং আসনের। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু আমতলী, বেতবুনিয়ি, তুমব্রু, বরইতলী।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনীতির মাঠে উত্তেজনা বাড়ছে বান্দরবান ৩০০ নং আসনের। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু আমতলী, বেতবুনিয়ি, তুমব্রু, বরইতলী।
আজুখাইয়া পাড়াসহ বিভিন্ন গ্রাম ও হাট- বাজারে বাংলাদেশ জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী এড.আবুল কালাম এর দাঁড়িপাল্লার সমর্থনে নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় এক ব্যাপক গণসংযোগ ও পথসভা।
গণসংযোগে প্রায় ৫ শতাধিক সমর্থকদের নিয়ে পথসভা করা হয়, যা পুরো এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। স্থানীয়দের মতে, এটি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক গণসংযোগ ও পথসভাটি।
এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন বান্দরবান ৩০০ নং আসনের সংসদীয় প্রার্থী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর, জেলা আইনজীবীর বারবার নির্বাচিত সভাপতি ও পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য এড. আবুল কালাম। তার সঙ্গে ছিলেন, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল আওয়াল, আগামী দোছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা ওমর ফারুক সিরাজী।
গণসংযোগ চলাকালে ঘুমধুম ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজার ও জনবহুল এলাকায় পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এসব সভায় প্রার্থীরা দলের আদর্শ, ভিশন এবং নির্বাচনী অঙ্গীকার তুলে ধরেন।
পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদীয় প্রার্থী এড. আবুল কালাম বলেন, “গত ৫৪ বছরে দেশের মানুষ নানান প্রতীক আর প্রতিশ্রুতি দেখেছে, এবার সময় এসেছে দাঁড়িপাল্লার বাংলাদেশ গড়ার। আমরা ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, বৈষম্যহীন, দুর্নীতি-চাঁদাবাজিমুক্ত, সন্ত্রাস ও দখলবাজমুক্ত একটি কল্যাণরাষ্ট্র গড়তে চাই। ইসলাম ও ইনসাফের ভিত্তিতে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, “আমরা উন্নয়ন চাই, তবে তা যেন ন্যায়বিচার ও সুশাসনের সঙ্গে সমন্বিত হয়। ক্ষমতায় গেলে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আপসহীন ভূমিকা রাখবে জামায়াত।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল আওয়াল অন্তবর্তী কালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জুলাই বিপ্লবের গণহত্যার বিচারের মধ্য দিয়ে আগামী রাষ্ট্রীয় সরকার গঠন করবে যদি বিচারিক কার্যক্রম নিশ্চিত না হয়। তাইলে শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানী করা হবে
আগামী দোছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা ওমর ফারুক সিরাজী “ঘুমধুমবাসী সার্বিক উন্নয়ন এবং নাগরিক সেবা নিশ্চিত করাই হবে আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার। জনগণই আমাদের শক্তির উৎস। ইসলাম, ইনসাফ ও আমানতের ভিত্তিতে আমরা একটি আদর্শিক স্থানীয় সরকার গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, ওসমান হত্যার বদলা নেওয়ার জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতের উপর হাত রেখে সাহাবীরা বাইয়াত গ্রহণ করছেন যদি বদলা না নেওয়া পর্যন্ত কেউ মদিনায় ফিরে আসব না এইভাবে যদি দায়িত্বশীলদের আনুগত্যকে সামনে রেখে কাজ করলে বান্দরবান ৩০০ নং আসনের সংসদীয় প্রার্থী এড. আবুল কালামকে দাড়িপাল্লা প্রতীক বিজয় নিশ্চিত করতে পারব ইনশাআল্লাহ।
ইসলামী আন্দোলনের ঘুমধুম ইউনিয়নের উপদেষ্টা মাওলানা ইউনুস সরোয়ার বলেন, ইসলামিক দল গুলি ঐক্য হওয়ার চেষ্টা চলতেছে ইসলামিক দল যে কোন ব্যানারে আসলে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধভাবে বিজয় নিশ্চিত হবে।
পথসভা ও গণসংযোগে আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলার অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও আগামী ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী এড. হামিদুল হক, সাবেক ভাইসচেয়ারম্যান নুরুল আবছার, সভাপতি সালাহ উদ্দীন, সেক্রেটারি মাহমুদুল হক, বাইতুল মাল সম্পাদক আবু সাঈদ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা কামাল উদ্দীন, সেক্রেটারি সৈয়দ হোসাইনসহ স্থানীয় জামায়াত ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
পথসভায় ছিল দলীয় স্লোগান, দোয়া এবং জনসাধারণের উদ্দেশে নানা সামাজিক বার্তা। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই পথসভা ও গণসংযোগের মাধ্যমে জামায়াত নির্বাচনী মাঠে নিজেদের সক্রিয় উপস্থিতি জানান। একই সঙ্গে জনগণের সঙ্গে সংযোগ বাড়াতে এবং দলের বার্তা পৌঁছে দিতে এধরনের আয়োজন কার্যকর ভূমিকা রাখছে বলেও তারা মনে করছেন।