
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহী নগরীর পবায় আজিজ ভান্ডারীর খানকায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর পবা উপজেলার বড়গাছি ইউনিয়নের পানিশাইল চন্দ্রপুকুর গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। খানকার পীর আজিজুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, পুলিশের উপস্থিতিতে এ হামলা হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
পীর আজিজুল ইসলাম জানান, প্রতি বছর ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে খানকা শরিফের পক্ষ থেকে তিন দিনের দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার ছিল এই আয়োজনের প্রথম দিন। তিনি অভিযোগ করেন, জুম্মার নামাজের পর বিএনপি ও জামায়াতের লোকজন স্থানীয় গ্রামবাসীকে উসকে দিয়ে খানকা শরিফে হামলা চালায় এবং পুরো খানকা শরিফ ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়।
এ ঘটনায় পবা থানার ওসিকে দায়ী করে আজিজুল ইসলাম বলেন, পুলিশের অনুমতি নিয়েই এ আয়োজন করা হয়েছিল। থানার ওসি- সহ পুলিশের উপস্থিতিতেই খানকা শরিফে হামলা করা হয়েছে এবং ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। গোয়েন্দা সংস্থার পূর্ব সতর্কতার পরেও পুলিশ হামলা এড়াতে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে পবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মুনিরুল ইসলাম বলেন, তিন/চারশত মানুষ একসঙ্গে সেখানে হামলা করেছে। আর আমরা ছিলাম মাত্র ৫ জন পুলিশ। সেখানে আমাদের কী করার ছিল। দেশের পরিস্থিতি তো জানেন। তবে থানায় অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি।