
মো: হারুন-উর-রশীদ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে:
প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগে থানায় ও আদালতে মামলা দায়ের করায় হত্যার হুমকি ও পুলিশের সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দিনাজপুর পার্বতীপুর উপজেলার দক্ষিণ মরনাই গ্রামের আজগার আলীর ছেলে এজাজুল ইসলাম।
গত শুক্রবার সকাল ১০টায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, প্রতিবেশী আবু তালেবের ছেলে আল-আমিন (৩০), মো. লালটুর ছেলে মাসুদ (২৫), আব্দুল মালেকের ছেলে সুমন ইসলাম (৩০), সামসুলের ছেলে মতিয়ার রহমান মতি (২৮), মৃত দুদবার রহমানের ছেলে মজিবর রহমান (৬৫), মজিবরের ছেলে হাইকুল (৪০)সহ আরও কয়েকজন মিলে গত ১৩ জুন আম পাড়াকে কেন্দ্র করে তার স্ত্রী সাফিয়ারা (৩৫)-কে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এক পর্যায়ে গলা চেপে ধরা ও পেটে লাথি মারায় তিনি গুরুতর আহত হন।
এজাজুল জানান, বর্তমানে তার স্ত্রী দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার কিডনিতে জটিলতা দেখা দিয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে তিনি ২৩ জুন দিনাজপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা (নং সিআর-৩৯৮/২৫) দায়ের করেন। এরপর থেকেই বিবাদীরা তার পরিবারকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, এ ঘটনায় ভবানীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ করলেও পুলিশের কোনো সহযোগিতা পাননি। বরং দুই পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ ও তাপস আসামিদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়ে তার কাছ থেকে ৯ হাজার টাকা নেন। টাকা নেয়ার পর পাঁচ দিন পার হলেও আসামি ধরার কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
এজাজুল অভিযোগ করেন, আদালতের নির্দেশে পিবিআই তদন্ত দিলেও এখনো প্রতিবেদন দাখিল করেনি। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, প্রতিপক্ষরা যে কোনো সময় তার পরিবারকে বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে আহত স্ত্রী সাফিয়া, পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং স্থানীয় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।