
ভোলা প্রতিনিধি
ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের দারোগা হাওলা গ্রামের হাবিব ঘোষের বাড়িতে ৫ লক্ষ্য টাকা চাঁদা না দেয়ায় রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে ওয়াসিম ও মিলন গংরা। তার প্রভাবে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
এর আগে, ওয়াসিম ও মিলন গংরা এলাকায় একাধিক বার এধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর মাঝি বলেন, দীর্ঘ ২৫/৩০ বছর এখানে বাড়ি করে আমরা বসবাস করে আসছি।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন আওয়ামী লীগ নেতা মিলন ক্ষমতার জোরে আমাদের উপর একাধিকবার অত্যাচার অবিচার করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে তার এই সকল অত্যাচার অবিচারের প্রতিকার পাওয়া আমাদের সম্ভব হয়নি। সে সময় দায়িত্বশীলদের কাছে একাধিকবার বিচার চেয়েও বিচার পায়নি। তারপরও আমরা মুখ বুজে সব কিছু সহ্য করে গিয়েছি। কিন্তু হঠাৎ করে ওয়াসিম, মিলন, শাহে আলম, মশুরা বেগম, ফাতেমা বেগম, রুনা বেগম, ফরিদ ও আলমগীর এবং বাবুল মিলে আমার ঘর থেকে বের হয়ে বাহিরে চলাচলের রাস্তাটি কাটা দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। শুধু তাই নয় তারা আমার ঘরের চারপাশে এমনভাবে আটকে দিয়েছে যাতে আমি কোনোভাবেই ঘর থেকে বের হতে না পারি।
স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, দীর্ঘ ২৫/৩০ বছর জাহাঙ্গীর মাঝি এখানে বসবাস করে আসছে। কিন্তু ওয়াসিম ও মিলন গংরা হঠাৎ করে কয়েক বছর জাহাঙ্গীর মাঝির কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করছে। সে চাঁদা দিতে না পারায় জাহাঙ্গীর মাঝির উপর অত্যাচার নির্যাতন চালাচ্ছে। সেই অত্যাচার এর শেষ পরিণতি হলো জাহাঙ্গীর মাঝির ঘর থেকে বের হওয়ার রাস্তাটি ও তারা বন্ধ করে দিয়েছে। যা কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। একজন মানুষের ঘর থেকে বের হওয়ার রাস্তাটি এই ভাবে বন্ধ করে দিলে কি ভাবে এই অসহায় পরিবারটি চলাচল করবে।
বসতবাড়ির রাস্তা কাটা দিয়ে বন্ধ করার বিষয়টি স্বীকার করে অভিযুক্ত রুনা বেগম বলেন, এই বাড়িটি এখানে ২০-২৫ বছর। এত বছর এরা এখানে বসবাস করে আসছে। এখন এদের সাথে আমাদের জায়গা জমির সমস্যা চলছে। জায়গা জমি সমস্যা সমাধান হলে রাস্তা ছেড়ে দেওয়া হবে।