
স্টাফ রিপোর্টার: সিদ্ধিরগঞ্জ থানার গোদনাইলের ৮নং ওয়ার্ডে বিএনপির ছত্রছায়ায় ফিটিংবাজ হিঙ্গাইল্যা জাকিরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পাঠানটুলী আইলপাড়া এলাকার জনসাধারণ। অথচ বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও পুলিশের নিবর ভূমিকায় এলাকাবাসী ক্ষোভে ফুসে উঠছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, পুরতন আইলপাড়া এলাকার হিঙ্গাইল্যা জাকির দুর্ধর্ষ কিলার দেলোয়ার হোসেন দেলুর মামা। আর ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য বলে এলাকায় গ্যাস, পানি, নতুন বাড়িঘর নির্মাণ ও বেচাকেনাসহ সব কিছুতে হিঙ্গাইল্যা জাকির আগ বাড়িয়ে চাঁদাদাবি করে জনসাধারণকে নানা ভাবে হয়রানী করছে। ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বিএইচ বাবুলের আসকারায় এবং আশ্রয় প্রশ্রয়ে কাউকেই মানছে না এই ফিটিংবাজ জাকির।
জাকিরের বিরুদ্ধে রয়েছে, বিস্তর অভিযোগ। কি খবর তোমার নামে সম্প্রতি তার ভাগিনা দেলুর ফেক আইডি থেকে মামার বিরুদ্ধেই একটি ঘটনা তুলে ধরে। এছাড়াও জাকির আওয়ামী সরকারের আমলে স্থানীয় আওয়ামী ও যুবলীগের নেতাদের কাছ থেকে নিয়েছেন বিশেষ সুবিধা।
বিগত আওয়ামী সময়ে স্থানীয় ক্যাডারদের ছত্রছায়ায় থেকেও করেছে অন্যায় অত্যাচার। পাঠানটুরী মোড়ে অসহায়ের মতো অসুস্থতার ভান ধরে দীর্ঘদিন বসে থাকতো আর আওয়ামী নেতাকর্মী এবং ক্যাডারদের কাছ থেকে নিতো সুযোগ সুবিধা। সরকারের পালাবদলের সাথে সাথে বর্তমানে জাকির একমূর্তিমান আতংকের নাম।
স্থানীয় দোকানে খেয়ে দেয়ে টাকা পয়সাতো দেয়ইনা বরং দোকানদারদের মারধর করারও চেষ্টা করে এবং হুমকী ধামকী দিয়ে হয়রানী করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। প্রকাশ্যেই পাঠানটুলী মোড়ে জামালের হাড়িপাতিলের দোকানে নিয়মিত আড্ডা দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে টিটকারী মারে এবং সাগরের চায়ের দোকানে বসে পরিকল্পনা করে টার্গেট ভিত্তিক মানুষের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার জন্য বাহিনীর সদস্যদের লেলিয়ে দেয়। জাকিরের রয়েছে একটি ছেচরা গ্রুপ।
এই গ্রুপ এলাকায় ভেজাল সৃষ্টিসহ চুরি ও ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত। তাছাড়া মাদক বিক্রির সাথেও হিঙ্গাইল্যা জাকির ও তার কিশোর গ্যাং গ্রুপ ওতোপ্রতোভাবে জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে হিঙ্গাইল্যা জাকিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি ডিএইচ বাবুল ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজিবের সহ পুলিশ প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।