বাকৃবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলা: ক্লাস- পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

আপলোড সময় : ০১-০৯-২০২৫ ০১:৩৭:০৩ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ০১-০৯-২০২৫ ০১:৩৭:০৩ পূর্বাহ্ন

বাকৃবি প্রতিনিধি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (৩১ আগস্ট) রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ক্লাস পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করার ঘোষনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।

জানা যায়, কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছিলেন। আন্দোলন চলাকালে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে লাঠিসোটা হাতে বহিরাগত দুর্বৃত্তরা নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা মিলনায়তনের তালা খুলে ভেতরে ৮ ঘন্টা যাবৎ আটকে থাকা শিক্ষকদের বের করে আনে।

এক শিক্ষার্থী বলেন, “শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির আন্দোলন দমাতে আজ সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কিছু শিক্ষকের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে আনা হয়। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় এবং নারী শিক্ষার্থীরাও এ হামলার শিকার হন।

অন্য এক শিক্ষার্থী বলেন, 'হঠাৎ দেখি ভিসি বাসভবনের দিক থেকে অনেক লোক আসছে এবং অডিটোরিয়ামের ডান পাশ থেকে চিৎকার শুরু হয়। পরে বহিরাগতরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করে এবং মারধর চালায়। আশ্রয়ের জন্য আমরা লাইব্রেরিতে অবস্থান নেই। কিন্তু ওই সময় যারা আক্রমণ করছিল তারা সবাই ছাত্রদলকর্মী ও টোকাই ছিল। তারা লাইব্রেরিতে ভাঙচুরও চালায়।'

এ ঘটনার, প্রতিক্রিয়ায় রাত ৯ টায় দিকে বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস ও উপাচার্যের বাসভবনে ভাঙচুর চালায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, 'অন্যান্য অনুষদের শিক্ষার্থীরা আমাদেরকে তালা ভেঙে বের করেছে। বহিরাগতরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে কি না সেটি আমরা জানি না। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার পরেও তারা আমাদেরকে আটক করে রাখলো। শিক্ষক সমিতির সদস্যরা জরুরু মিটিং করেছি। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, এই আটক করে রাখার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষা-কার্যক্রমে আমরা অংশগ্রহণ করব না।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. আবদুল আলীম বলেন, আমি সবচেয়ে পরে বের হয়েছি। বের হয়ে দেখলাম যে কয়েকজন লোক লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে আছে। তারা বহিরাগত ছিলেন নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সেটি আমি বুঝতে পারিনি কারণ তখন রাত হয়ে গেছিলো।



 

সম্পাদকীয় :

প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ গোলাম মাওলা শাওন
মোবাইল : ০১৭১১-০০৬২১৪

অফিস :

প্রধান কার্যালয় : ৩১/১ শরীফ কমপ্লেক্স ৫ম তলা পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০

মোবাইল : ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০

ই-মেইল : [email protected],  [email protected]