ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি।
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় জুঁই আকন্দ নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে দ্বিতীয়বারের মতো অপহরণ করা হয়েছে, বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জুঁইয়ের পরিবারের লোকজনের দাবি গত বুধবার বিকেলে ধর্মপাশা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্ত্বর থেকে জুঁইকে দ্বিতীয়বারের মতো অপহরণ করা হয়।
এর আগে আরও, একবার তাকে অপহরণ করা হয়েছিল। জুঁই উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের চকিয়াচাপুর গ্রামের মোজ্জাম্মেল হকের মেয়ে। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় মোজ্জাম্মেল হক নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে একই গ্রামের হাবিকুল ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে মোজ্জাম্মেল হকের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোজ্জাম্মেলের ছোট ভাই সাফায়েত কবীর।
এর আগে আরও, একবার তাকে অপহরণ করা হয়েছিল। জুঁই উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের চকিয়াচাপুর গ্রামের মোজ্জাম্মেল হকের মেয়ে। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় মোজ্জাম্মেল হক নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে একই গ্রামের হাবিকুল ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে মোজ্জাম্মেল হকের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোজ্জাম্মেলের ছোট ভাই সাফায়েত কবীর।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জুঁই বাদশাগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে চকিয়াচাপুর গ্রামের আইজল মিয়ার ছেলে মোবারক জুঁইকে উত্ত্যক্ত করতো। বিষয়টি জুঁইয়ের বাবা মোবারকের বাবাকে জানালে মোবারক আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়।
গত ১৯ জুন রাত নয়টায় মোবারক একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে রানা মিয়া ও হাবিকুলের ছেলে মনিরকে নিয়ে জুঁইকে অপহরণ করে। ওই রাতে জুঁইয়ের পরিবারের লোকজন ধর্মপাশা থানায় জিডি করে। এর চারদিন পর জুঁইয়ের বাবা বাদি হয়ে মোবারক এবং তার বাবাসহ ৬ জনকে আসামি করে ধর্মপাশা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরণ সংক্রান্ত মামলা করেন।
গত সোমবার জুঁই ও মোবারককে উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন মোবারককে ধর্মপাশা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। এর পরদিন জুঁইকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সুনামগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে বুধবার জুঁইকে তার বাবার জিম্মায় দেন আদালত। কিন্তু আদালত চত্ত্বরে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা মোকারকের চাচা হবিকুল তার লোকজন নিয়ে জুঁইয়ের বাবার ওপর হামলা করে আবারও জুঁইকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
গত ১৯ জুন রাত নয়টায় মোবারক একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে রানা মিয়া ও হাবিকুলের ছেলে মনিরকে নিয়ে জুঁইকে অপহরণ করে। ওই রাতে জুঁইয়ের পরিবারের লোকজন ধর্মপাশা থানায় জিডি করে। এর চারদিন পর জুঁইয়ের বাবা বাদি হয়ে মোবারক এবং তার বাবাসহ ৬ জনকে আসামি করে ধর্মপাশা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরণ সংক্রান্ত মামলা করেন।
গত সোমবার জুঁই ও মোবারককে উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন মোবারককে ধর্মপাশা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। এর পরদিন জুঁইকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সুনামগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে বুধবার জুঁইকে তার বাবার জিম্মায় দেন আদালত। কিন্তু আদালত চত্ত্বরে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা মোকারকের চাচা হবিকুল তার লোকজন নিয়ে জুঁইয়ের বাবার ওপর হামলা করে আবারও জুঁইকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চকিয়াচাপুর গ্রামের আলেফর খান বলেন, হাবিকল ১২-১৪ লোক নিয়ে আদালত চত্ত্বরে অপেক্ষা করছিল এবং মেয়ের বাবাকে মারধর করে হাবিকুলের লোকজন জোর করে ওই মেয়ে নিয়ে যাচ্ছে- এমনটি আমি দেখেছি।
জুুঁইয়ের বাবা মোজ্জাম্মেল হক বলেন, আদালত মেয়েকে আমার জ্জিম্মায় দেন। কিন্তু মোবারকের চাচা হবিকুল তার লোকজন নিয়ে আমাকে মারধর করে আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত তার কেনো খোঁজ খবর পাইনি। আমি মেয়ের সন্ধ্যান চাই।
মোবারকের চাচা হাবিকুল বলেন, বিষয়টি স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়েও শেষ করতে পারিনি। আমার ভাতিজা (মোবারক) এখন হাজতে আছে। তাদের কাছ থেকে তাদের মেয়ে পালিয়ে গেছে না কি করেছে সেটা আমরা জানিনা। বুধবার বিকেলে মেয়ের (জুঁই) লোকজন মোবারকের বাড়ি ঘরে হামলা করেছে। এ ব্যাপারে আমরা থানায় অভিযোগ করেছি।
ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ওই মেয়ে পুনরায় অপহরণ হয়েছে- এমন কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে মোবারকের বাড়ি ঘরে হামলা হয়েছে এমন অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।