
নিজস্ব প্রতিবেদক
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দেশ প্রেমিকদেরকে নিপীড়ন-নির্যাতনের পর গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির নেতৃবৃন্দ।
২৮ আগস্ট প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী, প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান চন্দন সেনগুপ্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজেদ রানা জুলাই আন্দোলনকারী ও অন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, কথা বলতে না দিলে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ দাবি করবেন না। কারণ স্বাধীনতা মানেই যে যার মত করে কথা বলবে, রাজনৈতিক কর্মসূচি করবে। এই কথা বলতে না দেয়ার কারণে কিন্তু পতন হয়েছিলো অতিত সরকারের। অতএব, কথা বলতে দিন, কর্মসূচি করতে দিন।
বিবৃতিতে মোমিন মেহেদী আরো বলেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মত সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে এসে হামলা-নিপীড়নের মধ্য দিয়ে সরকারের আইন-শৃঙ্খলা অবনতির প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। আইন উপদেষ্টা বা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যদি দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ হন, তাহলে পদত্যাগ করে যোগ্য ও দক্ষ ব্যক্তিদেরকে দায়িত্ব দিন। তবুও দেশে সহিংসতা থেকে দেশকে রক্ষা করুন। আমরা মনে করি- শত শত সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার না করে দিব্যি আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে- আমরা জাহেলিয়াতের যুগে চলে এসেছি।
ধর্ষণ-খুনের সংবাদ দৈনিক পত্রিকাগুলো প্রকাশ না করার জন্য নিদের্শনা দেয়া, টিভি-চ্যানেলগুলোতে নাবালক ছেলেপুলেদেরকে টক- শোর নামে বেয়াদবির আখড়াস্থল বানাবার ব্যবস্থা করে দেয়া কি স্বৈরাচারি-ফ্যাসিজম নয়। আমরা এক স্বৈরাচারের খপ্পড় থেকে বাঁচতে আরেক স্বৈরাচারের খপ্পড়ে পড়ে না পারছি বাঁচতে, না পারছি মরতে।
অনতিবিলম্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাসহ গ্রেফতারকৃতদেরকে নিঃশর্ত মুক্তি দিন।