
আশরাফুর রহমান হাকিম, কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি।
মাদারীপুরে কালকিনিতে একটি বিদ্যালয়ের আয়ার পরিবারকে পুলিশে দেয়ার হুমকীর অভিযোগ পাওয়া গেছে একই বিদ্যালয়ের শরীর চর্চা শিক্ষক মো: জাহিদুল রহমান (জাহিদ) এর বিরুদ্ধে। উপজেলার ঐতিহ্যবাহি স্বনামধন্য সৈয়দ আবুল হোসেন একাডেমীতে ঘটে এ ঘটনা।
এদিকে, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফ-উল আরেফীন। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার।
ভূক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের ক্লাসরুম ঝাড়ু দেওয়াকে কেন্দ্র করে শরীর চর্চা শিক্ষক জাহিদুল রহমান এর সাথে একই বিদ্যালয়ের আয়া সালমা বেগমের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শিক্ষক জাহিদুল রহমান আয়া সালমা বেগমকে থাপ্পড় দিতে এগিয়ে আসে এবং গলাধাক্কা দিয়ে স্কুল থেকে বেড়িয়ে যেতে বলে। তখন স্কুলের আয়া সালমা বেগম বলে আমার অপরাধ কি? একথা বলার সাথে সাথে জাহিদুল রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে আয়া সালমা বেগমকে বলে তুই স্কুল থেকে বেড়িয়ে যাবি তোর কোন বাপ থাকলে তা নিয়ে আয়।
আয়া সালমা বেগম বিষয়টি তার স্বামীকে জানান। এ ঘটনা তার স্বামী আজিবর প্যাদা জানার পরে সাথে সাথে স্কুলে এসে শিক্ষক জাহিদুল রহমানের কাছে জানতে চায় আমার স্ত্রীর অপরাধ কি? আমার স্ত্রীকে আপনি কেন গায়ে হাত দিতে ও গলাধাক্কা দিয়ে বের করতে চাইলেন। আপনি কি আমার স্ত্রীকে মারতে পারেন কি না? তখন স্কুল চলাকালিন সময়ে শিক্ষকদের উপস্থিতিতে শরীরচর্চা শিক্ষক জাহিদুল রহমান আয়া ও আয়ার স্বামীর সাথে বাজে ভাষা ও দুজনকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় বলে জানাযায়।
কান্না জরিত কন্ঠে আয়া সালমা বেগম বলেন, আমরা গরিব মানুষ কিন্তু আমাদের তো এ সমাজে আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচার অধিকার আছে। আমাকে জাহিদ স্যার ক্লাসরুম ঝাড়ু দেয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্র- ছাত্রীদের এবং অভিভাবকদের সামনে আমাকে চর-থাপ্পড়, গলাধাক্কা দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দিবে এবং আমাকে বলে তোর কেন বাপ আছে তাকে নিয়ে আয়? এমনকি অন্যান্য শিক্ষকদের সামনে আমার স্বামী ও আমাকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
অভিযুক্ত শিক্ষক জাহিদুর রহমান বলেন, আয়া আমার পুত্রবধু। তবে যা হয়েছে তা মিটে গেছে। আপনারা এখন আয়ার কাছ থেকে জেনে নিয়েন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফ উল আরেফীন বলেন, অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।