বোয়ালখালীর ‘পাইন্যা কচু’ মধ্যপ্রাচ্যের চাহিদা বেশি

আপলোড সময় : ১৬-০৮-২০২৫ ০১:৪১:৫৩ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৬-০৮-২০২৫ ০১:৪১:৫৩ অপরাহ্ন

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম।  

বর্ষা মৌসুমে চট্টগ্রাম বোয়ালখালীতে বাড়ে ‘পাইন্যা কচুর’ আবাদ। এখানকার কচু দেশ পেরিয়ে বিদেশেও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। গত এক দশক ধরে এই কচু রপ্তানি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। উপজেলায় উৎপাদিত কচু স্বাদে-গুণে অনন্য হওয়ায় চাহিদা রয়েছে দেশের বাজারেও। তবে এবার প্রচণ্ড গরমের কারণে কচুখেত নষ্ট হওয়ায় বিপাকে পড়ে কৃষকরা।

উপজেলার কধুরখীল, সারোয়াতলী ও আমুচিয়া, পোপাদিয়া শ্রীপুর ইউনিয়নে কচুর ভালো ফলন হয়েছে। উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, চাষিরা জমি থেকে কচু তুলে সড়কের পাশে সাজিয়ে রাখছেন বিক্রির জন্য। পাইকারী ব্যবসায়ীরা এসব কচু দরদাম করে নিয়ে যাচ্ছেন।

এসময় কথা হয় পাইকারী ব্যবসায়ী সুমনের সাথে তিনি জানান, বিশেষ করে বোয়ালখালী পোপাদিয়া ও শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের কচু সুস্বাদু হওয়ায় প্রতি বছর অনেক টাকা কচু বিদেশে রপ্তানি করা হয়। তবে এবার কচু  বিদেশে রপ্তানি করা যাচ্ছে না রাজনৈতিক সরকার না থাকার কারনে।

আরেক পাইকারি কচু ব্যবসায়ী মোজাফফর জানান, বোয়ালখালীর খরণদ্বীপ ও পোপাদিয়া ইউনিয়ন থেকে কচু কিনে নগরের রিয়াজউদ্দীন বাজারে বিক্রি করি। সেখান থেকে ঢাকাসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বোয়ালখালীর কচু রপ্তানি করেন ব্যবসায়ীরা।
তবে এবার বিদেশে রপ্তানি কম। 

উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ জানান, কচু উৎপাদনে বোয়ালখালীকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। কচু চাষিদের বীজ, সার, প্রশিক্ষণের পাশাপাশি দেওয়া হয় সহায়তা ও সার্বিক পরামর্শ। তবে সবাই একসাথে প্রণোদনা দেওয়া না গেলেও যোগাযোগ করলে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। এবার প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে এবার পানি কচু চাষ হয়েছে।

বোয়ালখালীতে সাধারণত মুখিকচু, পানিকচু ও লতিকচু- এই ৩ ধরনের কচু চাষ হয়ে থাকে। তবে পানিকচু ‘পাইন্যা কচু’ বেশি জনপ্রিয়। চাষিরা এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় কচু সরবরাহ করেন বলেও জানান তিনি।

স্থানীয় কাঁচাবাজার ব্যবসায়ি মোহাম্মদ খোরশেদ জানান, বোয়ালখালী বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষকদের উৎপাদিত পানি কচু এখন দেশের চাহিদা মিটিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে সৌদি আরব, আবুধাবী, দুবাই, ওমান, ওর কাতার সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে। খেতে সুস্বাদু ও গলা চুলকানির ঝামেলা বিহীন হওয়ায় বিদেশী বাজারে এর চাহিদা বাড়চ্ছে তবে সরকার পরিবর্তনের পর রপ্তানি প্রক্রিয়ায় কিছুটা জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ কৃষকদের। আশ্বিন ও কার্তিক মাসে পানি কচু রোপণ করা হয়।

কৃষকরা জানিয়েছেন বর্ষাকাল হওয়ায় জমিতে পর্যাপ্ত পানি থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। সারা বছর পানি কচু থেকে ফসল পাওয়া যায়। খরচ কম তাই পানি কচু চাষে কৃষকদের দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে।



 

সম্পাদকীয় :

প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ গোলাম মাওলা শাওন
মোবাইল : ০১৭১১-০০৬২১৪

অফিস :

প্রধান কার্যালয় : ৩১/১ শরীফ কমপ্লেক্স ৫ম তলা পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০

মোবাইল : ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০

ই-মেইল : [email protected],  [email protected]