পটুয়াখালীতে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে নৃশংস হত্যা: ৪ জন গ্রেফতার

আপলোড সময় : ২৯-০৭-২০২৫ ১১:৩৫:০৮ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৯-০৭-২০২৫ ১১:৫৬:৩৩ অপরাহ্ন
 
 
মনজুর মোর্শেদ তুহিন (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড় আউলিয়াপুর ইউনিয়নে আলমগীর তালুকদার (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।

 
গত ৭ এপ্রিল রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন আলমগীর তালুকদার। পাঁচ দিন পর, ১২ এপ্রিল সকালে তার নিজ বাড়িতে তালাবদ্ধ কক্ষে অর্ধগলিত মরদেহ পাওয়া যায়। মরদেহের হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা, মুখ গামছা দিয়ে মোড়ানো এবং ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আমেনা বেগম সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 
পটুয়াখালী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজলের তত্ত্বাবধানে পুলিশ ও ডিবির যৌথ অভিযানে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে ঢাকার মতিঝিল এলাকা থেকে মোঃ শাহিন সিকদার (৪৩) কে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর তিন আসামি—মোঃ জাফর জোমাদ্দার (৬১), মোঃ রুহুল আমীন খান (৪৮), ও মোঃ রিপন মিয়া ওরফে রিপন শরিফ (৪২) কে পটুয়াখালী সদর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

 
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামিরা ম্যাগনেটিক পিলার ও পাওয়ার কয়েন সংক্রান্ত প্রতারণামূলক অবৈধ ব্যবসায় জড়িত ছিল। টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জেরে তারা আলমগীর তালুকদারকে হত্যা করে।

 
আসামিরা প্রথমে ভিকটিমের হাত-পা বেঁধে মুখে গামছা দেয়, পরে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং ঘটনাকে আত্মহত্যা মনে করাতে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত রশি, গামছা ও বালিশ উদ্ধার করা হয়েছে।

 
পুলিশ জানায়, মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।




 

সম্পাদকীয় :

প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ গোলাম মাওলা শাওন
মোবাইল : ০১৭১১-০০৬২১৪

অফিস :

প্রধান কার্যালয় : ৩১/১ শরীফ কমপ্লেক্স ৫ম তলা পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০

মোবাইল : ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০

ই-মেইল : [email protected],  [email protected]