
স্টাফ রিপোর্টার : মাদক ও অস্ত্রধারীদের দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশনা দেওয়ার পরও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কথা নারায়ণগঞ্জে কার্যকর হচ্ছে না বলে অভিমত রয়েছে। গডফাদার আজমির ওসমানের অন্যতম সহযোগী আওয়ামী দোসর নারায়ণগঞ্জের দুর্ধর্ষ কিলার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেলোয়ার হোসেন দেলু এখনো পুলিশের নাকের ডগায় ঘোরাফেরা করছে। অথচ পুলিশের তালিকাভুক্ত এই মাদক ও অস্ত্র বিক্রেতা বহু মামলার আসামী থাকলেও দেলুকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার না করায় ক্ষোভে ফুসছে সচেতন মহল।
জানা যায়, মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী এবং ডাকাতি, হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন দেলু সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল নতুন আইলপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। মদদী শাহজাহান ড্রাইভারের পুত্র দেলু বেশ কয়েক বছর যাবত দাপটের সহিত ইয়াবা, ফেন্সিড্রিল, দেশীয় অস্ত্র পিস্তল বিক্রি করে আসছে। বিশেষ করে গডফাদার আজমির ওসমানের হুন্ডা বাহিনীর সদস্য হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ শহর ও আশপাশ এলাকায় রামরাজত্ব চালিয়ে আসছিল। বর্তমানেও বিএনপি’র রাজনৈতিক শেল্টারে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে গুম-খুনসহ মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে হয়রানী ও চাঁদা আদায় করছে, বলে অভিযোগ রয়েছে। মাদকসহ দেলু আটক হলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এক বছরের সাজা প্রদান করে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়াও বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে ডাকাতি করার সময় আটক হয়। তাছাড়া র্যাবের অভিযানে বিভিন্ন ধরনের দেশী ও বিদেশী অস্ত্রসস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়।
তারপরও থেমে নেই দেলুর অবৈধ ব্যবসা ও রাম রাজত্ব। বর্তমানে তরুন দলের সাইন বোর্ড লাগিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটছে এই দেলু। যদিও তরুন দল বিএনপির অনুমোদিত নয়। সাম্প্রতিককালে দেলুর ফিরিস্তি মিডিয়ায় প্রকাশ পেলে তাৎক্ষনিকভাবে তরুন দল থেকে কেন্দীয় কমিটি বহিস্কার করে। কিন্তু কয়েকদিন পরই পুনরায় আর্থিক আতাতের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ মহানগর তরুন দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নেয়।
আরো জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আজমির ওসমান ও শামীম ওসমানের অস্ত্রের মোহরার সময় এই দেলু ও তার বাহিনী প্রকাশ্যেই নিরীহ ছাত্রদের উপর গুলি চালিয়েছিল। আর সেই দেলুকে স্থানীয় অর্থলোভী বিএনপি নামধারী নেতা এবং জেলা বিএনপির একজন প্রভাবশালী নেতা সন্ত্রাসী দেলুকে মদদ দিয়ে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করছে এবং অবৈধ কর্মকান্ডে দেলুকে ব্যবহার করছে বলে বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী জানান।
এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের সাথে দেলুর দহরম মহরম থাকায় চাঁদা আদায়ের জন্য অনেক ছেলে পুলেকে অস্ত্র দিয়ে ধরিয়ে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। যার ফলে যৌথবাহিনী এবং র্যাব দেলুকে নজরদারীতে রেখেছে এবং যে কোন সময় গ্রেফতার হতে পারে বলে আইনশ্খৃলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে। এলাকাবাসী দেলুকে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবী করছে প্রশাসনের কাছে।