
আশিকুর রহমান শান্ত, ভোলা প্রতিনিধি। ভোলা সদর উপজেলা ও লালমোহন উপজেলায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের খায়ের হাট বাজারের ব্যবসায়ী মোঃ কামাল এর দোকান মেসার্স সুমাইয়া স্টোর থেকে ৫০ কেজি ও একই বাজারের মেসার্স জামাল স্টোর থেকে ৫৯.১ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগ জব্দ করে ভ্রাম্যমান আদালত। উভয় ব্যবসায়ী মুছলেখা দিয়ে অবৈধ পলিথিন এর ব্যবসা করবে না বলে অঙ্গীকার করে।
অপর এক অভিযানের মাধ্যমে লালমোহন উপজেলা সদরের মহাজন পট্টির মেসার্স মামুন স্টোর থেকে ১৬২ কেজি ও মেসার্স মিজান বানিয়া স্টোর থেকে ১৪৬ কেজি এবং মেসার্স নিখিল স্টোর থেকে ১৬ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ জব্দ করা হয়।
সোমবার (২৮ জুলাই) বিকাল ৩ টা ৫০ মিনিটের সময় ঘটনাস্থলে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ মজুদ, বিক্রয় ও বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন এবং বিতরণের অপরাধে পর্যায়ক্রমে মামুন স্টোর কে ৫০ হাজার টাকা ও মিজান বানিয়া স্টোর কে ৫০ হাজার টাকা এবং নিখিল স্টোর কে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে লালমোহন উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ আজিজ। এ সময় জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ তোতা মিয়ার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় সর্বাত্মক সহযোগিতা করে লালমোহন থানা পুলিশের ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের একটি চৌকস টিম।
ভোলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. তোতা মিয়া জানান, স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে বিকালে ভোলা সদর উপজেলার খায়ের হাট বাজারের ২ টি দোকানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ১০৯ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ ও লালমোহন উপজেলা সদরের মহাজন পট্টিতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৩টি দোকান থেকে ৩২৪ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ জব্দ করা হয় এবং লালমোহনের ৩ ব্যবসায়ী কে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অপর দিকে ভোলা সদর এর খায়ের হাট বাজারের ২ ব্যবসায়ী আর এ ধরনের অবৈধ পলিথিনদের ব্যবসা করবে না বলে মুচলেখা দেয়। এছাড়াও জব্দকৃত পলিথিন বর্তমানে তাদের কাছে জব্দ রয়েছে।
উল্লেখ্য, খায়ের হাট বাজার এর ব্যবসায়ী মোঃ কামাল আন্তজেলা নিষিদ্ধ পলিথিন চোরা চালান করার মূল হোতা। জানা যায়, তার নেতৃত্বেই দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলার অত্যন্ত গ্রামের হাট বাজার এবং বরিশাল ও লক্ষীপুরের কিছু অঞ্চলে এই অবৈধ পলিথিন চোরাচালান করে। এর আগেও একাধিকবার প্রশাসনের একাধিক টিম তার গুদামঘর সহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করেন। তারপরেও কামাল দমে যাননি।