কাউখালীতে অতিরিক্ত বৃষ্টির পানিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসহ গ্রামের রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে।

আপলোড সময় : ২৭-০৭-২০২৫ ১০:৫২:০৬ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৭-০৭-২০২৫ ১০:৫২:০৬ অপরাহ্ন
 
 
কাউখালী প্রতিনিধি।  পিরোজপুরের কাউখালীতে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে সবজি ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসহ গ্রামের রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে গেছে। অস্বাভাবিক পানির চাপে উপজেলার বিভিন্ন নদীর তীরবর্তী  নিম্ন অঞ্চলের মাটির কাঁচা পাকা রাস্তা ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাওয়া গেছে।
 
 
বিশেষ করে নদীর তীরবর্তী আবাসন গুলো পানিতে ডুবে যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি শহরে বিভিন্ন পুরাতন রাস্তা ও নিচু এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা যার ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে কেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে দৈনন্দিন জীবনে স্বাভাবিক চলাফেরা হুমকির মুখে পড়েছে। দৈনিক মজুরিতে শ্রম বিক্রি করা মানুষেরা অতিরিক্ত বৃষ্টি ও পানির ফলে কাজ না পেয়ে খালি হাতে ফিরছে বাড়িতে।
 
 
দিনমজুর শুকুর আলী, সুমন হোসেন সহ অনেকেই জানিয়েছেন উত্তর বাজার ব্রিজের উপরে সকালে শ্রম বিক্রি করার জন্য কাজ করা মানুষগুলো এসে দাঁড়ায়। আর বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকের জন্য আসা লোকজন ৭/৮ শত টাকার বিনিময়ে ৭/৮ ঘন্টা কাজের জন্য তাদেরকে নিয়ে নেয়। কিন্তু বর্তমানে অতিরিক্ত বর্ষার ফলে তিন দিন পর্যন্ত কেউ শ্রমিক নেয় না। ফলে তারা বেকার হয়ে হাট-বাজারে চাউল, ডাল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল কিনতে না পেরে খালি হাতে বাড়িতে যেতে হয়। যার ফলে পরিবারের লোকজন স্বাভাবিক খাবারটুকুও খেতে পারে না।
 
 
এভাবে আরও, বৃষ্টি ও পানি বাড়লে অনাহারেই থাকতে হবে বলে তারা আকাঙ্ক্ষা করছেন। এমনকি উপজেলা সদরে পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় সহজে পানি নামতে পারছে না। এতে জনগণের দুর্ভোগ আরো বাড়িয়ে দেয়। উপজেলা শহরের আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কাজী হারুন অর রশিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনের অংশসহ বন্দরের আশপাশের অনেক এলাকায়  জলাবদ্ধতা লেগেই থাকে। এই সমস্ত এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়।
 
 
এমনকি আশপাশের বসবাস করা সাধারণ মানুষ জলাবদ্ধতার কারণে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া উপজেলার সয়না, মেঘপাল,বেতকা, হোগলা, রঘুনাথপুর, গন্তব্য, শাপলেজা, জোলাগাতি, ফলইবুনিয়া, বেকুটিয়া সুবিদপুর, আমরাজুরি, রোঙ্গাকাটি, বিড়ালজুড়ি, জয়কুলসহ ২০/২৫টি গ্রামের অধিকাংশ নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়ে রাস্তাঘাট ও বাড়িগুলো  অতিরিক্ত পানি উঠেছে।
 
 
অতিরিক্ত বর্ষা ও জোয়ারের পানির চাপে কাঁচা মাটির রাস্তা গুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যায়। উপজেলার কঁচা ও সন্ধ্যা নদীর তীরবর্তী এলাকায় হাজারো পরিবারের বসবাস। সাগরে নিম্নচাপ হলেই এলাকার মানুষের চিন্তা বাড়ে। রাত থেকে শুরু হওয়ায় বৃষ্টির পানিতে আশপাশ তলিয়ে গেছে। জোয়ারের পানি উঠলে বিপদ বেড়ে যায়। রাতের জোয়ারে অনেক পানি উঠেছে, আমরা আতঙ্কের ভিতর আছি। ‎
 
 
কুমিয়ান আবাসনের বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, আমরা আবাসনে থাকি অতিরিক্ত বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে চলাচলের রাস্তা পানিতে ডুবে গেছে। স্বাভাবিকভাবে বের হতে পারি না। উপজেলার ইজিএস শিক্ষানিকেতনের শিক্ষক সোহাগ হোসেন বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টি ও জোয়ারের সময় আমাদের বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীর সহ আমাদের ভোগান্তির শেষ থাকে না।
 
 
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন এলাকায় আগাম জিয়ার চাউল বিতরণ করা হয়েছে। সরকারি বরাদ্দ পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হবে।  সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।
 
 
 
 
 

সম্পাদকীয় :

প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ গোলাম মাওলা শাওন
মোবাইল : ০১৭১১-০০৬২১৪

অফিস :

প্রধান কার্যালয় : ৩১/১ শরীফ কমপ্লেক্স ৫ম তলা পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০

মোবাইল : ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০

ই-মেইল : [email protected],  [email protected]