কাজিরহাটে স্বৈরাচারী শিক্ষিকা আক্রোশ মূলক শিক্ষার্থীকে পিটি আহত করলেন।

আপলোড সময় : ২৬-০৭-২০২৫ ০৪:৪৮:৫০ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ২৬-০৭-২০২৫ ০৪:৪৮:৫০ পূর্বাহ্ন


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 


কাজিরহাট সহকারী শিক্ষিকা নিলুফা, 
ডাস্টার দিয়ে বেদম মারধর করলেন, দশম শ্রেণির ছাত্র আশিককে। বরিশাল জেলার কাজিরহাট থানার এমএম মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর দশম শ্রেণীর ছাত্র আশিককে বিদ্যালয় আক্রোশ মূলক ভাবে বেদম মারধর করলেন সহকারী শিক্ষিকা নিলুফা বেগম।


বিদ্যালয় এর সূত্রে জানান, গতকাল ২৩ জুলাই বুধবার  আনুমানিক ১১টায় নিলুফা ম্যাডাম তাহার ক্লাস নিতে বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর কক্ষে আসেন, ক্লাসে বসে রাজনীতির কথা বলেন এবং আশিকের বাবার ব্যাপারে বিভিন্ন আলোচনা  করেন। তখন দশম শ্রেণীর ছাত্র আশিক বলেন, আপনি বিদ্যালয় এর একজন শিক্ষিকা।


তবে আপনি কেন আমাদের ক্লাসে বসে বাজে মন্তব্য করেন। এই কথা বলায় শিক্ষিকা নিলুফা একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আশিককে ডাস্টার দিয়ে বেদব মারপিট করেন। দশম শ্রেণীর ছাত্র আশিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। অতঃপর তাহার অভিভাবক সংবাদ পেয়ে দ্রুত তাকে মুলাদি হাসপাতলে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।


নিলুফা ম্যাডামের স্বামী বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, এবং ইউপি সদস্যও ছিলেন, এই ম্যাডাম বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে এই বিদ্যালয় কে তার স্বামীর ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে স্কুলটিকে জিম্মি করে রেখেছেন। তিনি এলাকায় বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে এলাকার মানুষকে অনেক হয়রানি করতেন। অতঃপর নিলুফার স্বামী নজরুল ইসলাম ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েও এলাকা ত্যাগ করে ইতালি চলে যান।


এই ঘটনার ধারাবাহিকতায় তাহার। স্বামী নজরুল এর সাথে আশিকের বাবার অনেক দ্বন্দ্ব ছিল। আশিকের বাবা আরো জানান, আমি প্রায় ৬ বছর বিদ্যালয়ের সভাপতি ছিলাম। নিলুফা বেগমের সার্টিফিকে সন্দেহ থাকায় বারবার দেখতে চাইলেও সে দেখাইতে রাজি হয়নি। নিলুফা বেগমের বিদ্যালয়ের চাকরি নিয়ে, এখনো এলাকার সাধারণ মানুষের ভিতরে ব্যাপক গুঞ্জন।


বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীনের সাথে ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে, তিনি জানান, আমি বিশেষ কাজে বরিশাল ছিলাম। তবে ঘটনা আমি মোবাইল ফোনে জানতে পেরে আমার বিদ্যালয়ের, শিক্ষিকা নিলুফা কে বলেছিলাম আমি আগামী দিন এসে অভিভাবকদেরকে নিয়ে এটা মীমাংসা চেষ্টা করব। আমার কথা তোয়াক্কা না করে সে বলে আমি আইনি ব্যবস্থা যাব। শিক্ষিকা নিলুফা ম্যাডামের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান আমি শিক্ষক আমি শুধু একটা ডাক্তার দিয়ে পিটিয়েছি তাতে তেমন বেশি কিছু হয়নি, ম্যাডাম নিজেই স্বীকারোক্তি দিলেন সে পিটিয়েছে।


উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে মুঠো ফোনে আলাপ করলে তিনি জানান, আমি বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত সাপেক্ষে দেখবো।






 

সম্পাদকীয় :

প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ গোলাম মাওলা শাওন
মোবাইল : ০১৭১১-০০৬২১৪

অফিস :

প্রধান কার্যালয় : ৩১/১ শরীফ কমপ্লেক্স ৫ম তলা পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০

মোবাইল : ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০

ই-মেইল : [email protected],  [email protected]