
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহী নগরীতে যুবদল ও ছাত্রদলের দুই নেতাসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এজাহারে ৩৬ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১৮ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। বুধবার (২৩ জুলাই) দিবাগত রাতে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার বাদী মোস্তাফিজুর রহমান একজন ডেভেলপার ব্যবসায়ী। তার প্রতিষ্ঠানের নাম গ্রিন প্লাজা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড।
আসামিদের বিরুদ্ধে তিনি ২লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ করেছেন। এদিকে এজাহারে প্রধান আসামি করা হয়েছে রাজশাহী জেলা যুবদলের সাবেক আহ্ধসঢ়;বায়ক মোজাদ্দেদ জামানী সুমনকে (৪৮) ও ২ নম্বর আসামি রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লিমন (২৬)। মামলার এজাহারে দাবি করা হয়েছে, আসামিরা ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে ২ লাখ টাকা দাবি করে আসছিলেন।
এ বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক লিমন বলেন, মোস্তাফিজের কাছে ২৭ লাখ টাকা পাবেন আমিনুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তিনি সুমন ভাইয়ের (যুবদল নেতা) আত্মীয়। টাকা না দেওয়ায় আমরা থানায় বসেছিলাম। বিষয়টি থানার ওসি নিজেই মীমাংসা করে দেন।
কথা হয় যে, টাকা দিতে না পারলে মোস্তাফিজ একটা ফ্ল্যাট সুমন ভাইকে দিয়ে দেবেন। ওই পর্যন্তই জানি। এখন পরে ষড়যন্ত্র করে এই মামলা করেছে। এদিকে মোস্তাফিজুর রহমানকে চেনেন না, কোনো দিন কথাও হয়নি বলে যুবদল নেতা সুমন প্রথমে দাবি করেন।
পরে ফ্ল্যাটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি রাজনীতি করি ভাই। অনেকেই আসে। সে জন্য কথা বলতে হয়। তবে চাঁদা দাবির অভিযোগ সত্য নয়। ছাত্রদল নেতা লিমন ও যুবদল নেতা সুমন দাবি করেন, মোস্তাফিজুর রহমান স্বৈরাচারের দোসর। বেছে বেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শনিবার (২৬ জুলাই) তারা সংবাদ সম্মেলন করবেন। সেখানে এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলবেন। মামলার বাদী মোস্তাফিজুর রহমান আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও তার স্ত্রী শাহীন আক্তার রেণীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচয় দিতেন। তাদের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে দিতেন। তার বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগ আছে। কথা বলার জন্য মোস্তাফিজুর রহমানকে একাধিকবার তার মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগরীর বোয়ালিয়া থানার এসআই শাহাদত হোসেন বলেন, মামলা হওয়ার দিন আমি সাক্ষী দিতে বাইরে গিয়েছিলাম। এসে শুধু এজাহারটা দেখেছি। আজ আবার পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণে যাচ্ছি। আসার পর প্রাথমিক তদন্ত শুরু করবো।