মনজুর মোর্শেদ তুহিন পটুয়াখালী। পটুয়াখালীর দুমকিতে নিউ লাইফ ডিজিটাল মেডিকেল সার্ভিসেস নামক একটি বেসরকারি হাসপাতালের পরিচালকের বিরুদ্ধে ভুল রিপোর্টের অভিযোগ করায় রোগীর স্বজনকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত চিকিৎসক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্তমান আরএমও ডা. জিএম এনামুল হক। হুমকির কারণে শঙ্কিত পরিবার দুমকি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
ভুক্তভোগী সখিনা বেগম জানান, তিনি তার ৬ বছরের অসুস্থ নাতনীকে ডা. এনামুল হকের মালিকানাধীন নিউ লাইফ ডিজিটাল মেডিকেল সার্ভিসেস-এ রক্তের এএসও টাইটর পরীক্ষা করান। তবে পরীক্ষার রিপোর্ট সন্দেহজনক হওয়ায় তিনি বরিশালের জাহানারা ক্লিনিকে পুনরায় পরীক্ষা করান। পরবর্তীতে দেখা যায়, নিউ লাইফ কর্তৃক দেয়া রিপোর্টটি ভুল ছিল।
এই বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে তিনি পটুয়াখালী সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগ করার পরপরই অভিযুক্ত চিকিৎসক সখিনা বেগমকে তার ব্যক্তিগত নম্বর (০১৭৬৫২৭৫৫০৪) থেকে ফোন করে হুমকি প্রদান করেন বলে জানা গেছে। এ সংক্রান্ত একটি অডিও ক্লিপ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং তা প্রতিবেদকের কাছেও পৌঁছেছে।
অডিও ক্লিপে শোনা যায়, ডা. এনামুল হক বলছেন, এই অভিযোগে কিছুই হবে না। আমার শ্বশুর ড্যাবের নেতা, সিভিল সার্জন থেকে শুরু করে সবাইকে আমরা চালাই। আমার কিছুই করতে পারবা না। অভিযোগ তুলে না নিলে দেখে নেব।
ভীত-সন্ত্রস্ত সখিনা বেগম গত ২৪ জুলাই (২০২৫) দুমকি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নং-১০২১) করেছেন। ডায়েরিতে তিনি হুমকি এবং হয়রানির বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ডা. জিএম এনামুল হক সরকারি কর্মচারী হয়েও নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রাইভেট মেডিকেল ব্যবসায় জড়িত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি সরকারি হাসপাতালের রোগীদের ইচ্ছাকৃতভাবে হাসপাতালের বাউন্ডারি দেয়াল ঘেসা নিজ মালিকানাধীন নিউ লাইফ মেডিকেল সেন্টারে পাঠিয়ে থাকেন।
বক্তব্য নেয়ার জন্য ডা. জিএম এনামুল হকের ব্যবহৃত মুঠোফোন একাধিকবার ফোন করেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।