নিজস্ব প্রতিবেদক : মিটফোর্ডের ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী লালচাঁদ @ সোহাগ (৩৯) হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামী নান্নু কাজী (৩৩) নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায় র্যাব কর্তৃক গ্রেফতার।
ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন পূর্ব নামাবাড়ি এলাকায় বসবাসকারী ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে ভিকটিম লালচাঁদ @ সোহাগ (৩৯) ভাঙ্গারীর ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। ব্যবসার বিভিন্ন বিষয় ও এলাকার আধিপত্যকে কেন্দ্র করে আসামী মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) এর সাথে দীর্ঘ দিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। উল্লেখিত ঘটনার পূর্বে আসামী মাহমুদুল হাসান মহিন বিভিন্ন সময় ভিকটিম সোহাগ’কে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে।
পরবর্তীতে গত ০৯/০৭/২০২৪ তারিখ বিকাল অনুমান ১৭.৪০ ঘটিকার সময় আসামী মাহমুদুল হাসান মহিন এর সহযোগী আসামী নান্নু কাজী (৩৩)’সহ অপরাপর আসামীগণ ভিকটিম সোহাগের ভাঙ্গারীর দোকান থেকে টেনে হেঁছড়ে বের করে এলোপাথাড়ি ভাবে মারধর করে এবং ভিকটিমকে টেনে হেঁছড়ে মিডফোর্ড হাসাপাতালের ৩নং গেটের সামনে নিয়ে আসে। আসামীগণ ভিকটিম সোহাগকে বিবস্ত্র করে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড, সিমেন্টের বøক ও ইট দ্বারা এলোপাথাড়ী আঘাতের মাধ্যেমে রক্তাক্ত জখম পূর্বক ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে মৃত দেহের উপর উন্মক্ত উল্লাস করে বীরদর্পে চলে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় ভিকটিম সোহাগের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পরও লাশের উপর চলতে থাকে নৃশংসতা। পরবর্তীতে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভিকটিম সোহাগের মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক মিডফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বোন ডিএমপি, ঢাকার কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করলে মামলা নং- ০৭, তারিখ- ১০/০৭/২০২৫ খ্রি., ধারা- ১৪৩/৩০২/৩৪ পেনাল কোড, ১৮৬০ রুজু হয়।
উক্ত ঘটনার, পর র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল উল্লেখিত আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৫/০৭/২০২৫ তারিখে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং র্যাব-১১ এর সহযোগীতায় নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন বালিয়াগ্রাম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখিত ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামী মোঃ নান্নু কাজী (৩৩), পিতা- মৃত কাদের কাজী, সাং- প্রিয়কাঠি, থানা- ডামুড্যা, জেলা- শরিয়তপুর’কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।