তানোরে তামান্না হিমাগারে কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আলু পঁচা ও আলুতে গাছ গজানোর অভিযোগ

আপলোড সময় : ১৩-০৭-২০২৫ ১০:৪৪:২৬ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ১৩-০৭-২০২৫ ০৩:৫৯:০২ অপরাহ্ন


নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী: রাজশাহীর তানোরের মেসার্স তামান্না পটেটো কোল্ড স্টোরেজ (হিমাগার) কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে কৃষকের আলু নষ্টের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ কোল্ড স্টোর কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অবহেলা ও পিসিতে আলু রাখায় গ্যাস সংকটের কারণে এতো অল্প সময়ে আলু পচা ও আলুতে গাছ গজিয়েছে। এসব গাছ গজানো আলুর ওজন কমে ও পচে যাচ্ছে বাজারে দামও কম।


এতে বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে আলুচাষি কৃষক ও ব্যবসায়ীগণ। অধিকাংশ বস্তার তিনভাগের একভাগ আলু পচে গেছে। সরেজমিন তদন্ত করা হলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।


এদিকে, ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিন ১২ জুলাই শনিবার দুপুরে মেসার্স তামান্না পটেটো কোল্ড স্টোরেজে (হিমাগার) গিয়ে দেখা যায়, আলু রাখা সেডে বাছাই প্রক্রিয়া চলছে। এ সময় একাধিক ব্যক্তি বলেন, আলুতে (ট্যাঁক) গাছ গজানো দেখতে হলে সকালের দিকে আসতে হতো। আলু সেডে ঢালার পর প্রায় আলুতেই এক ইঞ্চি থেকে দেড় ইঞ্চি করে গাছ গজিয়েছে। প্রায় আলুর গাছ পরিস্কার করা হয়েছে। এজন্য এখন কম দেখা যাচ্ছে। গাছ গজানো আলু বিক্রি করা কষ্টকর এবং বাজার দামও কম হবে। কি কারনে গাছ গজিয়েছে জানতে চাইলে তারা বলেন, পিসিতে আলুর বস্তা রাখার কারনে ঠিকমত গ্যাস দিতে পারেনি। মুলত একারনেই আলুতে গাছ গজিয়েছে। এটার জন্য দায় হিমাগার কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না।


উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) মোহাম্মদপুর গ্রামের কৃষক রায়হান আলী (৬০) বলেন, তিনি পেইড বুকিং দিয়ে আলু রেখেছেন। যাহার বুকিং নম্বর ১৫০৫, লট নম্বর, ৮৫৩২,পরিমাণ ৯৮ বস্তা। একই গ্রামের কৃষক তারেক বুকিং নম্বর ১৫০৫, লট নম্বর ৮৫৩৩, পরিমাণ ৩০ বস্তা, লট নম্বর ৮৫৩৪ পরিমাণ ১২ বস্তা, লট নম্বর ৮৫৩৫ পরিমাণ ৬ বস্তা ও লট নম্বর ৮৫৩৬ পরিমাণ ৩৯ বস্তা। কিন্তু পেইড বুকিং কাটার পরেও তাদের আলু পিসিতে রাখা হয়েছে  যেকারনে প্রায় অর্ধেক আলু নষ্ট ও বাঁকি আলুতে গাছ গজিয়েছে।


কৃষক রায়হান আলী বলেন, ১১ জুলাই শুক্রবার স্টোরের ম্যানেজার তাকে ফোন করে আলু বের করে নিয়ে যেতে বলেন, তিনি এদিন স্টোরে এসে দেখেন তার আলু পিসিতে রাখা হয়েছে। তিনি ৮৯ বস্তা আলু বের করে সেডে বাছাই করে মাত্র ৬১ বস্তা আলু পেয়েছেন, এসব আলুতেও গাছ গজিয়েছে বলতে গেলে তার পুরো আলু নষ্ট। অথচ স্টোর বস্তাসহ ৭০ কেজি আলুর ভাড়া নিয়েছেন।


তিনি বলেন, শুধু তিনি না তার মতো অসংখ্য কৃষকের আলুতে গাছ গজিয়ে নষ্ট হয়েছে। আলু যদি নষ্টই হবে তাহলে এতো টাকা খরচ ও ঝক্কি- ঝামেলা সহ্য করে স্টোরো আলু রাখার প্রয়োজন কি? একাধিক কৃষক বলেন হিমাগার কর্তৃপক্ষ আলু নিয়ে সিন্ডিকেট করে থাকেন। আলু বিক্রি করার জন্য সকালের দিকে সেডে ফেলার পর প্রতিটি আলুতে গাছ গজানো দেখে চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে পড়েছে। আলু ভালো থাকার জন্য হিমাগারে রাখা হয় অথচ ভালো থাকার পরিবর্তে পচে যাচ্ছে ও গাছ গজাচ্ছে। ভুক্তভোগী আলু চাষিরা এবিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এবিষয়ে মেসার্স তামান্না কোল্ড স্টোরেজ ম্যানেজার আব্দুল মান্নানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মুঠোফোনে কল গ্রহণ করেননি এবং ক্ষুদে বার্তা দিলেও কোনো সাড়া না দেয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।




 

সম্পাদকীয় :

প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ গোলাম মাওলা শাওন
মোবাইল : ০১৭১১-০০৬২১৪

অফিস :

প্রধান কার্যালয় : ৩১/১ শরীফ কমপ্লেক্স ৫ম তলা পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০

মোবাইল : ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০

ই-মেইল : [email protected],  [email protected]