
সিরাজুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার ৬নং ভাতুড়িয়া ইউনিয়নের টেংরিয়া প্রধান পাড়া গ্রামের সন্নিকট অবস্থিত একটি পুকুর যে পুকুরের নাম গ্রামের লোকে জানে চেংপুকুর নামে। আর এই পুকুরে পাড় গুলোতে নিজের আবাসস্থল হিসেবে বেছে নিয়েছে সুইচোরা বা বাঁশপাতি পাখিরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি বাঁশপাতি পাখির কিচিরমিচির আওয়াজে মুখরিত পরিবেশ।
জানা যায়, বিগত কয়েক বছর ধরে পুকুরের পাড় গুলোতে তাদের নিজ আবাস খুঁজে নিয়েছে এই পাখিরা। সবুজ সুইচোরা বা বাঁশপাতি বাংলাদেশের সুলভ আবাসিক পাখি।
জানা যায়, বিগত কয়েক বছর ধরে পুকুরের পাড় গুলোতে তাদের নিজ আবাস খুঁজে নিয়েছে এই পাখিরা। সবুজ সুইচোরা বা বাঁশপাতি বাংলাদেশের সুলভ আবাসিক পাখি।
দেশের সব বিভাগের গ্রামীণ কুঞ্জবন, এদের সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো খামার ও খোলা মাঠে এদের চোখে পড়ে। সবুজ সুইচোরা বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকা গাছপালা, আবাদি জমি, বেলাভূমি ও চারণভূমিতে বিচরণ করে। এরা সচরাচর ছোট দলে থাকে। এদের খাবার তালিকায় আছে ডানাওয়ালা পোকা, মৌমাছি, উইপোকা, ফড়িং, প্রজাপতি, বোলতা, মথ, গুবরে পোকা ও পিঁপড়া। এই পাখি দ্রুত ডানা ঝাপ্টে ও অনমনীয় মুক্ত ডানায় সুন্দরভাবে ধীরে ধীরে উড়ে চলে। এরা মধুর গলায় কাঁপিয়ে অনুক্রমিকভাবে ট্রি-ট্রি-ট্রি... সুরে ডাকে।
সবুজ সুইচোরা বালিময় ভূমি, পুকুর পাড়ে গর্ত খুঁড়ে বাসা বানায়। সেখানে সাদা রঙের চার থেকে আটটি ডিম পাড়ে।
সবুজ সুইচোরার দেহের দৈর্ঘ্য প্রায় ২১- সেন্টিমিটার, ওজন ১৫ গ্রাম। সোনালি বা লালচে ঘাড়ের নিচের অংশ ছাড়া পুরো দেহই সবুজ। কালো মাশকারা চোখ বরাবর চলে গেছে। ফিকে নীল গলায় কালো বেড় থাকে। লেজের কেন্দ্রীয় পালক জোড়ার অভিক্ষেপ ভোঁতা আলপিনের মতো। বাঁকা ঠোঁট বাদামি-কালো ও মুখ পাটল বর্ণের। চোখ গাঢ় লাল। পা ও পায়ের পাতা হলুদাভাব-বাদামি। নখ শিং বাদামি। ছেলে ও মেয়ে পাখির চেহারা অভিন্ন। অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখির ফ্যাকাশে কিনারার পালকসহ গলার ফিকে ও কালো বেড় নেই। তাই স্হানীয় পাখি প্রেমিক ও শুধি মহলের অনুরোধ এই বিলুপ্ত প্রায় পাখিটিকে তার সঠিক পরিবেশে যেন খাপ খাইয়ে টিকে থাকতে পারে। ডিম নষ্ট কিংবা পাখি শিকার যেন না করা হয়।