হবিগঞ্জে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৭৫ হাজার পশু-দুশ্চিন্তা-ভারতীয় গরু

আপলোড সময় : ১৯-০৫-২০২৫ ০৬:৪৫:৪৪ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৯-০৫-২০২৫ ০৬:৪৫:৪৪ অপরাহ্ন



লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ বেড়েছে মোটা তাজাকরণের খরচ- বিদেশী গরুর প্রবেশ ঠেকানোর দাবি হবিগঞ্জ জেলায় আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে গরু খামার গুলোতে চলছে গরু মোটাতাজাকরণের কাজ। নিরাপদ গো-মাংস নিশ্চিতকরণে জেলায় ছোট-বড় ও পারিবারিক প্রায় ৭ হাজার ২০০ গরুর খামার গড়ে উঠেছে। খামারগুলোতে কোন ধরনের নিষিদ্ধ ট্যাবলেট ও ইঞ্জেকশন ছাড়াই গরু মোটাতাজাকরণের কাজ চলছে।


জেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৯টি উপজেলায় ৭ হাজার ২০০ ছোট বড় গরুর খামারে এখন চলছে গরু মোটাতাজাকরণের কাজ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খামারে নিয়োজিত শ্রমিকরা দেশীয় পদ্ধতিতে গরুর যত্ন নিয়ে তৎপর রয়েছে। হাওরের সবুজ ঘাস, খইল ও দেশীয় খড় কচুরিপানাসহ দেশীয় প্রযুক্তির খাবার দিয়ে গরু মোটাতাজা করছেন খামারিরা।


এ বছর জেলায় কোরবানির চাহিদা রয়েছে প্রায় ৭০ হাজার কিন্তু পশু মজুদ রয়েছে ৭৫ হাজার। যে কারণে এবার জেলায় পশু কোরবানিতে সংকট পড়বে না নেই কোনো ঘাটতি। কিছুদিন পর বাজারে ওঠনো হবে গরুগুলো। খামারিদের দাবি দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করণ করার কারণে দেশীয় গরুর চাহিদা ক্রেতাদের কাছে বেশি।


শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার রহমান ডেইরী ফার্মের স্বত্বাধিকারী রজব আলী জানান, আমরা সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে গরুগুলো কোরবানির জন্য মোটাতাজাকরণ করছি। গরুগুলোদের জার্মানি ঘাস, খইল ও হাওরের সবুজ ঘাস খাইয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে।


একই খামারের কর্মচারী দুলাল মিয়া জানান, আমরা রাতদিন পরিশ্রম করে দেশীয় খাবার দিয়ে মোটাতাজা করছি এতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না। কিছুদিন পর গরুগুলোকে হাটে তোলা হবে। 


অপর খামারি নাসির উদ্দিন জানান, আমাদের গরুগুলোকে দেশীয় খাবার দেয়ার কারণে এর চাহিদা অন্যান্য গরুর চেয়ে বেশি থাকে। যে কারণে ক্রেতাই সরাসরি খামারে এসে তাদের পছন্দের গরু ক্রয় করে নিয়ে যায় কোরবানির জন্য। তিনি আরো জানা, তার খামারের প্রতিটি গরু ১ লাখ থেকে শুরু করে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম হাকা হবে। গরুর বাজারে তাদের অনেক চাহিদা রয়েছে। গরুর সঠিক মূল্য পেলে তাদের উৎসাহ থাকে খামারি বেশি বেশি করে গরু আনার জন্য।


জেলার কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের উপ-পরিচালক ডা. মো. আব্দুস ছামাদ জানান, এ বছর জেলায় ছোটবড় ও পারিবারিক প্রায় ৭ হাজার ২০০টি খামার রয়েছে। প্রতিটি খামারে প্রাকৃতিক উপায়ে কোরবানিকে সামনে রেখে গরু প্রস্তুত করা হচ্ছে।


তিনি আরো জানান, প্রাণী সম্পদ অফিসের কর্মকর্তারা নিয়মিত খামার গুলো পরিদর্শন করেন এবং খামারিদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যাতে করে সুস্থ ও স্বাস্থ্য সম্মত পশু কোরবানির হাটে তোলা হয়। এ বছর তাদের কোন পশু সংকট নেই বলে উল্লেখ করে বলেন, আমরা আশা করছি চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী জেলায় কিছু গরু রপ্তানি করা হতে পারে।




 

সম্পাদকীয় :

প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ গোলাম মাওলা শাওন
মোবাইল : ০১৭১১-০০৬২১৪

অফিস :

প্রধান কার্যালয় : ৩১/১ শরীফ কমপ্লেক্স ৫ম তলা পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০

মোবাইল : ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০

ই-মেইল : [email protected],  [email protected]