রাজৈরে সহকারী শিক্ষা অফিসার তপা বিশ্বাসের দূর্ণীতির সাতকাহন।

আপলোড সময় : ১৮-০৫-২০২৫ ১০:৪৩:৩১ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৮-০৫-২০২৫ ১০:৪৩:৩১ অপরাহ্ন

 

 
রাজৈর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি। মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার তপা বিশ্বাসের নামে বিভিন্ন অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার,ও দূর্ণীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিভাগীয় মামলা দায়ের করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।


উল্লেখ্য, জনাব, আবু নুর মোঃ শামসুজ্জামান, মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধীদপ্তর ঢাকা লিখিত অভিযোগনামা থেকে জানা যায় প্রথমতো তপা বিশ্বাস রাজৈর উপজেলার খালিয়া ক্লাস্টারের ১০৪ নং  নয়াকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিকট ভোট কেন্দ্র মেরামত খাতে দশ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেন।  ঘুষ না পাওয়ায় কাজ সমাপ্তির প্রত্যায়ন না দিয়ে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাবা জেসমিন বেগমকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করেন। 

 
দ্বিতীয়ত, খালিয়া ক্লাস্টারের সকল শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরণ করে তাদেরকে তটস্থ রাখেন। তৃতীয়ত, তপা বিশ্বাস অমার্জিত পোশাক পরিধানকরে অফিসে আসেন এবং পুরুষদের মত চলাফেরা করেন। বিদ্যালয়ের ছোটখাট ভুল নিজে কখনই সমাধানের উদ্দেগ গ্রহন করেন না। চতুর্থত, তপা বিশ্বাস উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে কোন সময়ই তোয়াক্কা করেন না। ফলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার প্রশাসনিক দ্বায়ীত্ব পালন করতে বিব্রত বোধ করেন। 


পঞ্চমত, তপা বিশ্বাস তার ক্লাস্টারের সকল বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে পোশাক ক্রয় করার কথা বলে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা আদায় করেন। অনেককেই পোশাক সরবরাহ করেন নাই। যদিও পরবর্তীতে কিছু পরিবার কে টাকা ফেরৎ দিতে বাধ্য হয়েছেন সেটার পরিমান মাত্র ২৪ হাজার টাকা। 

 
ষষ্টত, তপা বিশ্বাস তার ক্লাস্টারের শিক্ষকদের অহেতুক হয়রানী করেন। কোন কারন ছাড়াই তাদের রেকর্ড রেজিস্টার নিয়ে আসেন পরবর্তিতে সেটা আর কখনই ফেরৎ দেন নাই।এমনকি একটি বিদ্যালয় থেকে ল্যাপটপ মেরামতের কথাবলে নিয়ে আজ অবদি ফেরত দেন নি। বরং মিথ্যে বলেন আমি কোন বিদ্যালয় থেকে কখনই ল্যাপটপ নেই নাই। 

 
সপ্তমত, তপা বিশ্বাস আওয়ামী সরকারের আমলে তৎকালিন জেলা শিক্ষা অফিসারের নাম ভাঙ্গিয়ে তার ক্লাস্টারের ২৪ টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বাধ্য করান ৩ হাজার টাকা করে বই ক্রয় করার জন্য। তিনি প্রধান শিক্ষকদের স্লীপের টাকা থেকে এই অর্থ ব্যয় করতে বলেন। এবং এই অর্থ তিনি কোথাও জমা না দিয়ে  নিজের কাছেই রেখে দেন। তখন রাজৈর উপজেলার এক সাংবাদিক ঘটনাটি জানতে পেরে তপা বিশ্বাসের নামে বই বিক্রির ৪ লক্ষ ১৪ হাজার টাকা আত্মসাতের একটি রিপোর্ট করেন পত্রিকায়। তপা বিশ্বাস ঐ সাংবাদিককে বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখান অন্যান্য লোকের মাধ্যমে।

 
এর আগে, তপা বিশ্বাস পিরোজপুর চাকুরী করা অবস্থায় এ রকম কর্মকান্ডের কারনেই তার বিরুদ্ধ্যে বিভাগীয় মামলা হয়েছিল বলে অন লাইন পত্রিকার মাধ্যমে জানা যায়। মাদারীপুর জেলা শিক্ষা অফিসার জনাব সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন  তপা বিশ্বাসের উপর আনিত দূর্ণীতির অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে প্রমানিত হয়েছে।


তিনি আরো বলেন, তপা বিশ্বাসের এহেন কর্মকান্ডের ফলে রাজৈর উপজেলার শিক্ষকদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। তপা বিশ্বাস উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বৈধ কোন নিয়ম কানুন মেনে চলে না।  নিজের ইচ্ছে মত অফিসে আসা যাওয়া করে। আমার। কাছে অভিযোগ আসলে আমি তাকে সংশোধন হওয়ার জন্য সু পরামর্শ দেই কিন্ত সে আমার কথার কর্ণপাত না করে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। তার দেখাদেখি অন্যান্য উপজেলার সহকারী অফিসারগন কর্তব্য পালনে অবহেলা করতে শুরু করেছে।


এর আগে, মহাপরিচালক তাকে একটি কারন দর্শানোর নোটিশ করেছিল তাতে লেখা ছিলো তপা বিশ্বাস আপনার বরিদ্ধ্যে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আপনাকে সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা -২০১৮ এর ৩(খ) ও ৩(ঘ) বিধি অনুযায়ী অসদাচরন ও দূর্নীতি পরায়ন অভিযোগে অভিযুক্ত করা হলো এবং উক্ত অভ বা বিধি মোতাবেকন্য কোন শাস্তি প্রদান করা হবে না, এ অভিযোগনামা প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তার সন্তোষজনক জবাব লিখিত লিখিত ভাদে জানানোর নির্দেশ প্রদান করা হলো।


আপনি আত্মপক্ষ সমর্থনে ব্যাক্তিগত শুনানি প্রদানে ইচ্ছুক কিনা আপনার লিখিত জবাবে তা উল্লেখ, করার জন্যও নির্দেশ প্রদান করা হলো কিন্ত দুঃখের বিষয় তার পক্ষ থেকে কোন সন্তোষজনক মতামত না পেয়ে এমতাবস্থায় রাজৈর উপজেলার শিক্ষার সুষ্ঠ ব্যাবস্থাপনার স্বার্থে এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সুনামের স্বার্থে কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্যকারী এবং আর্থিক সহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্ণীতির সাথে জড়িত রাজৈর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তপা বিশ্বাসকে জেলার বাইরে প্রশাসনিক বদলি করার জন্য সুপারিশ করছি এবং একই সাথে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করার জন্য সুবিনয় অনুরোধ করছি।





 

সম্পাদকীয় :

প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ গোলাম মাওলা শাওন
মোবাইল : ০১৭১১-০০৬২১৪

অফিস :

প্রধান কার্যালয় : ৩১/১ শরীফ কমপ্লেক্স ৫ম তলা পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০

মোবাইল : ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০

ই-মেইল : [email protected],  [email protected]