
নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ১৭ মে খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা সফল করতে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় স্ব শরীরে উপস্থিত ছিলেন বালু কান্ডে পদ স্থগিত হওয়া বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ কামরুল আহসান।
গত ২৭ মে মার্চ কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের দলীয় প্যাডে স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি এস এম জিলানী এবং সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসানের সম্মতিক্রমে তার এই পদ স্থগিত করা হয়।
উল্লেখ্য, হিজলা উপজেলার সাওরা সৈয়দ খালির বালু মহাল ইজারা নিয়ে বরিশাল ডিসি অফিসে টেন্ডার নিয়ে সেনা সদস্যকে মারধর ও অপহরণের মতো অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়িত প্রমাণিত হওয়ায় কেন্দ্র থেকে এই স্থগিতাদেশ দেয়া হয়।
কিন্তু অদৃশ্য ক্ষমতাবলে দলীয় নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে রবিবার ১১ই মে সকালে সদর রোড বরিশাল বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভায় সভাপতি মোঃ নিজামুর রহমানের পাশেই অবস্থান করতে দেখা যায় তাকে।
এই লোক দেখানো বহিষ্কার বা পদ স্থগিত করে লাভ কি? এতে করে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় বলে মনে করেন তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী। যেখানে একই ঘটনায় বরিশাল মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোঃ মশিউর রহমান মঞ্জুর দলীয় পদ স্থগিত থাকায় তিনি দলীয় আদেশ মান্য করে কোন প্রকার সভা সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন না।
এ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম বিস্ময়। নেতাকর্মীরা বলেন, বরিশালে আলোচিত বালু মহল কান্ডে বরিশাল ও হিজলা উপজেলার মোট ১১ জন নেতাকর্মীর পদ তিন মাসের জন্য স্থগিত করে কেন্দ্রীয় নেতারা। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এই নির্দেশনা মানলেও, সদস্য সচিব কেন মানছেন না? এটা রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে।