
এম মনির চৌধুরী রানা : চট্টগ্রাম কসকবাজার মহাসড়কে সাইড সোল্ডার পুনঃসংস্কার না করায় যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এদিকে যানবাহনের চাপে পড়ে ছোট বড় অনেক সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে পথচারী ও যানবাহন চালকদের। আসন্ন বর্ষার আগেই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম কসকবাজার মহাসড়ক একটি জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এই মহাসড়ক দিয়েই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কক্সবাজারে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন ও লক্ষাধিক যাত্রী যাতায়াত করেন। জনবহুল সড়কটির অধিকাংশ স্থানে কোন সাইড সোল্ডার না থাকায় যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সড়কের কোন কোন স্থানে সাইড সোল্ডার না থাকায তা আগাছা দিয়ে ঢেকে গেছে। আবার যে সমস্ত স্থানে সাইড সোল্ডার আছে সেখান দিয়ে পথচারীও চলাচল করা খুব দূষকর ও কঠিন। কিছু কিছু জায়গায় মূল সড়ক হতে সাইড সোল্ডার আধাফুট ১ফুট নিচু রয়েছে। আর নিচু থাকার কারণে একটি যানবাহন অতি দ্রুত গতিতে আসলে ছোট যানবাহন বা পথচারীদের নেমে যেতে হয় সাইড সোল্ডারে। কিন্তু সাইড সোল্ডারের এমন অবস্থার কারনে প্রায় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়।
স্থানীয়রা বলেছেন, এই সাইড সোল্ডার পুনঃসংস্কার না করায় বিশেষ করে আসন্ন বর্ষা ও রাতে ইজিবাইক, মটরসাইকেল অটোরিকশা ও অন্যান্য ছোট ছোট যানবাহনে চলাচল করতে হিমসিম খেতে হয়। চট্টগ্রামের বোয়ালখালী কালুরঘাট ব্রীজ পটিয়া বাদামতল, চট্টগ্রাম নতুন ব্রীজ থেকে কসকবাজার পর্যন্ত মহাসড়কের উভয় পাশে রয়েছে দোকান পাঠ, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাট বাজার, বিভিন্ন স্থানে সাইড সোল্ডারের করুন অবস্থা। এটি জাতীয় মহাসড়ক জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কে এমন পরিস্তিতিতে যাত্রী সাধারণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। এবিষয়ে অতিদ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী রোকন উদ্দীন খালেদ চৌধুরী জানান, সাইড সোল্ডারের কাজ কিছু কিছু জায়গায় চলছে, ক্রমান্বয়ে জেলার বিশেষ অংশে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করা হবে।