নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিজেরে শ্রমিক হিসেবে পরিচয় দিতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। তিনি কোদাল কাঁধে নিয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে খাল কাটা কর্মসূচি পালন করে ছিলন। তিনি দেশের কৃষক-শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ করে দেশে কৃষি ও শিল্প বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে শ্রমিকদের কল্যাণে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন। তাদের সুযোগ্য সন্তান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচির ১৭ নং দফাতে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার বিষয়টি সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করেছেন। কর্মক্ষেত্রে কোন শ্রমিক আহত বা নিহত হলে তার পরিবারের দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে। শিশুশ্রম বন্ধ করা হবে, শ্রমিকদের সন্তান শ্রমিক হবেনা, তারা লেখাপড়া করে রাষ্ট্রের উন্নয়নের ভূমিকা রাখবে। শ্রমিকদের ভাগ্যের উন্নয়ন না হলে দেশের উন্নয়ন হবেনা। শ্রমিকদের জীবন মানের উন্নয়ন হলেই দেশ এগিয়ে যাবে।
বৃহষ্পতিবার বিকেলে গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ের মামার বাজারে মহান মে দিবস উপলক্ষে বৃহত্তর জৈন্তা পাথর শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন (রেজিঃ নং চট্ট ১৯০৯) এর আওতাধীন জাফলং শাখার উদ্যোগে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি সব সময় শ্রমিকদের সাথে রয়েছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে সর্বক্ষেত্রে সিন্ডিকেট করা হয়েছে। তারা শ্রমিকদের অধিকার হরণ করেছে। শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার পাচ্ছেন না। নারী শ্রমিকরা কর্মক্ষেত্রে সুষ্ঠু পরিবেশ পাচ্ছেন না, তারা মজুরীর ক্ষেত্রেও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। কর্মক্ষেত্রে আহত বা নিহত হলে তাদেরকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে না। দেশবাসী বিএনপিকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিলে এসব বিষয়ে বিশেষ নজর দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ।
জৈন্তা পাথর শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সহ সভাপতি কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক করিম মাহমুদ লিমনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ বক্স, জৈন্তাপুর উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুর রব, গোয়াইনঘাট উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল জলিল।
সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মিজানুর রহমান এমরান, বৃহত্তর জৈন্তা পাথর শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও জৈন্তাপুর উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আব্দুর রব, সিলেট জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ, পিয়াইন পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমির উদ্দিন, গোয়াইনঘাট উপজেলা শ্রমিক দলের দপ্তর সম্পাদক রমজান মোল্লা, জৈন্তা পাথর শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক লিয়াকত আলী, গোয়াইনঘাট উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি বেনজির আহমদ সুমন ও যুবদল নেতা আব্বাস আলী।
সমাবেশ বক্তারা বলেন, পাথম শ্রমিকরা বিভিন্ন প্রশাসনিক জটিলতার কারনে অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। দেশের সকল পাথর কোয়ারি খুলে দিয়ে ইজারা দেয়া হলেও রহস্যজনক কারনে সিলেট অঞ্চলের ১৭টি কোয়ারী এখন ইজারা হয়নি। বৃহত্তর জৈন্তা এলাকার মানুষের আায়ের প্রদান উৎস হচ্ছে পাথর ও বালু। আমরা অবিলম্বে সকল পাথর কোয়ারি ও বালু মহাল খুলে দেয়ার দাবি জানাই।
শ্রমিক সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপি নেতা শফিকুর রহমান টুটুল, ফ্রান্স স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক গোলাম মাহমুদ আজম, সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি লায়েক আহমদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য কাওছার আহমদ রকি, আকরাম আহমদ প্রমূখ।