
মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ৭ বছরের এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় আবদুল গণি (৫০) নামের এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ৭ টার দিকে উপজেলার সিংবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে শিশুটির মা বাদি হয়ে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আবদুল গণির বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আবেদন করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মির্জাগঞ্জ থানার ওসিকে এজাহার গ্রহণের আদেশ দেন।
আসামি আবদুল গণি উপজেলার মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ভয়াং এর মৃত ওয়ারেচ মুন্সির ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি আবদুল গণি ও ভুক্তভোগী শিশুটি একই এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার দিন দুপুরে ভুক্তভোগী শিশুটি অন্য শিশুদের সাথে খেলাধুলা করছিল। এ সময় আসামি আবদুল গণি ‘মজা ওয়েফার’ কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে শিশুটির বাড়ীর সামনে রাস্তার উত্তর পাড়ে ঝোপের ভিতর শিশুটিকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে বসে শিশুটির পোশাক টেনেহিঁচড়ে খুলে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন তিনি। এসময় শিশুটি ডাক-চিৎকার করিলে আসপাশের লোকজন এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে। তখন আসামি আবদুল গণি দ্রুত ওখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে তারা শিশুটিকে তার মায়ের হাতে তুলে দেয়, এবং ঘটনার কথা তাকে জানান।
মির্জাগঞ্জ থানার ওসি শামীম হাওলাদার বলেন, শিশুটিকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় আসামি আবদুল গণিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।