
বাকৃবি প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি জানিয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) সংস্কার ও ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন। পরে রাত ৮টার দিকে একটি মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে শুরু হয়ে আব্দুল জব্বার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা রেললাইনের উপর অবস্থান নেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ ব্যাহত হয়। রাত ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা রেললাইন থেকে সরে গেলে পুনরায় রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থী অনিক রায় জানান, “শিক্ষার্থীদের দুঃখ-কষ্ট বোঝার ক্ষমতা পিএসসির কর্মকর্তাদের নেই। কারণ তারা তো আর আমাদের মতো কয়েকবার বিসিএস পরীক্ষায় বসেনি। আগের সরকার পুলিশ দিয়ে পিটাতো, এখন সেনাবাহিনী দিয়ে পেটায়। আমরা কি এত বড় সন্ত্রাসী? তিনবার পিএসসিতে গিয়েছি, তারা কোনো কথা না শুনেই পিটিয়েছে। সংস্কার করতে হলে তা রাজপথেই করতে হবে। টাকার বিনিময়ে নিয়োগ বন্ধ করতে হবে।”
বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড আসাদুজ্জামান সরকার বলেন, “একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের সমস্ত ন্যায়সংগত আন্দোলনকে সমর্থন করি। পিএসসির সংস্কার হোক, শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষেত্রে বড় বাজার তৈরি হোক—এটাই আমাদের প্রত্যাশা। তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনগুলো নিয়মতান্ত্রিকভাবে হওয়া উচিত, যাতে কোনো জনদুর্ভোগ না হয়।