
পঞ্চগড় প্রতিনিধি : কয়েক বছর আগেও বাবার দুইবিঘা জমিতে কৃষি করে জীবিকা নির্বাহ করতো পঞ্চগড় সদর উপজেলার ৬নং সাতমেরা ইউনিয়নের সপিজুল ইসলামের ছেলে দুলাল। জমিতে মুলা চাষ করে সংসার চালাতো সে কিন্তু ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ সম্পাদকের পদ ব্যাবহার করে অবৈধ ব্যাবসা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, জমি দখল, মারধর বিভিন্ন অসৎ কাজে লিপ্ত হয়ে ফুলে ফেঁপে উঠছে দুলাল। মাত্র চার পাঁচ বছরে হয়ে উঠে কোটিপতি। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পরেও দাপট কমেনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ সম্পাদকের দুলালের।বর্তমানে তিনটি খামারে এক কোটি টাকার উপরে গরুর রয়েছে তার।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সীমান্তে বিভিন্ন অবৈধ ব্যাবসার মাধ্যমে উত্থান এই আওয়ামী লীগ নেতার। নামকাওয়াস্তে একটি সারেরও দোকান আছে তার।
জমিজায়গা সহ বিভিন্ন চলমান মামলার আসামি হওয়া সত্বেও দুলালের ত্রাসের রাজত্বে ভাটা পরেনি।
একই গ্রামের বাসিন্দা ও ওয়ার্ড বিএনপির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক কসিম আলী জানান, আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হাতে পায়ে যখম করে দুলাল। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের এমপি নাইমুজ্জামান মুক্তাকে ভোট দিতে বিভিন্ন হুমকি দিত সে।
একই গ্রামের বাসিন্দা সুবান আলী, আব্দুর রব, রুস্তম আলী, আইয়ুব আলী, তামিরুল হক, আমজাদ আলী, শায়না আক্তার, রিনা আক্তার জানান, সে মুলা বিক্রি করে খেত কয়েক বছরে কিভাবে সে তিন চার কোটি টাকার মালিক হলো।এলাকার সাকিমুল ইসলামের জমি নিয়ে বিরোধের জন্য বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘুরে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করতো।
এবিষয়ে দুলালের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে একাধিক বার ফোন করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।