গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ঃ বোর্ডের নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে নিজের খেয়াল খুশি মতো অজ্ঞাত কারনে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে সহকারী কেন্দ্র সচিব ও হল সুপার দায়িত্ব দিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। এ ঘটনায় বিধি দেখিয়ে গত ১৭ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলেও সাত দিনেও নেওয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। ফলে বিশেষ সুবিধার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগকৃত পরীক্ষা কেন্দ্রটি হলো উপজেলার ভূটিয়ারকোনা-(১৭৪) স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন এ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ গোলাম মোহাম্মদ। উক্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে ভূটিয়ারকোনা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ, কেন্দ্রভুক্ত প্রতিষ্ঠান নহাটা উচ্চ বিদ্যালয়, মাওহা উচ্চ বিদ্যালয় ও খলতবাড়ি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। এই কেন্দ্রে সর্বমোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৬৭ জন। উক্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে কেন্দ্রভুক্ত প্রতিষ্ঠান নহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শহীদুল্লাহকে সহকারী কেন্দ্র সচিব নিয়োগ দিয়েছেন ও মাওহা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাঞ্চনকে হল সুপার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, উল্লেখিত পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার যোগসাজশে পরীক্ষা পরিচালনা নীতিমালা ৬ এর ক “যে বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে না এমন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক/সিনিয়র সহকারী শিক্ষক সহকারী কেন্দ্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।” ৬ এর খ “কোনো পরীক্ষা কেন্দ্রে এক বা একাধিক ভবন থাকলে প্রতি ভবনের জন্যও একজন করে সহকারী কেন্দ্র সচিব থাকবেন।” এবং ৮ এর ক “সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে কেন্দ্র বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক/সিনিয়র সহকারী শিক্ষাক হল সুপার নিযুক্ত হবেন।
তবে যে, বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে না এমন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক/সিনিয়র সহকারী শিক্ষক হল সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।” লঙ্ঘন করে কেন্দ্রভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সহকারী কেন্দ্র সচিব ও মাওহা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাঞ্চনকে হল সুপার নিয়োগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে কেন্দ্র সচিব ভূটিয়ারকোনা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোঃ সাজেদুল হক জানান, উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার পরামর্শেই সহকারী কেন্দ্র সচিব ও হল সুপার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শাহাদাৎ হোসেন জানান, তাঁরা তো হলে যান না। হলে তাদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। শুধু অফিসে বসে সময় পার করেন।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম সাজ্জাদুল হাসান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করার জন্য উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
গত সাতদিনেও কেন তদন্ত হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার নজরে আসে দুইদিন হয়।