শিল্পী আক্তার, ঢাকা : ঢাকার মহাখালীতে সরকারি তিতুমীর কলেজের বাম পাশে ফুট ওভারব্রিজ এর নিচে বিশাল অংশ জুড়ে ছাত্ররা চা সিগারেটের দোকান দিয়েছে। যেখানে পথচারীদের দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করার কথা সেখানে পুরো জায়গা তাদের দখলে। এর আগে কোনো সময় এই জায়গা দখল হতে দেখিনি।
কলেজের ছাত্ররা চা বিক্রি করতে পারে তবে সাথে সিগারেট বিক্রি করছে ব্যপারটা কেমন জানি মনে হলো। ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর! সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো এই চায়ের দোকানটিতে কলেজের ভিতর থেকে তার টেনে বিদ্যুৎ সংযোগ লাগানো হয়েছে। এই সংযোগ নেওয়ার বৈধতা কোথায় পেলেন তারা তা আমার বোধগম্য নয়। দোকানটিতে কলেজের আসবাবপত্র (টুল-টেবিল) ব্যবহার করা হচ্ছে। আশেপাশে অন্যসব চায়ের দোকানে চার্জার বাতির মিট মিট আলো জ্বলে কিন্তু ছাত্রদের দোকানে আলো ঝলমল।
সন্ধার পর চা দোকানটিতে ক্রেতা ছাড়াও ছাত্রদের আড্ডা দেখে মনে হয়েছে, এটা রাজনৈতিক কোনো পার্টি অফিস। যা যে কারোরই চোখে পড়ে। এছাড়া কলেজের মূল ফটকের পাশে ফুচকা দোকান গুলো ফুটপাত দখল করে খদ্দেরদের বসার জন্য এমনভাবে টুল পেতে দেয় পথচারীদের হাঁটাচলা করার জন্য একটু যায়গাও অবশিষ্ট থাকে না। এদিক দিয়ে হাঁটতে হয় মূল সড়কের উপর দিয়ে যা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
কলেজের ভেতরে ক্যান্টিন থাকার পরেও রাস্তায় বিশৃঙ্খলা কেন? এভাবে কী তাদের ব্যবসা করার জন্য ফুটপাত বানানো হয়েছে? এসব কলেজ কর্তৃপক্ষের নজড়ে না পড়ার পেছনে কী কোনো অদৃশ্য শক্তি আছে?
জানিনা আর কতকাল এসব অসঙ্গতি আমাদের নীরবে সয়ে যেতে হবে। এসব দোকানের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে আশা করি।