
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
রাজশাহী বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডি) সাবেক নির্বাহী পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম বিগত সরকারের মেয়াদে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) গত (১৪ জুলাই ২০২৪) নির্বাহী পরিচালক (ইডি) হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পরে নির্বাহী পরিচালকের নিকট সর্বস্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারিগণ সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং দূর্নীতিমুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কর্তৃপক্ষকে গড়ে তোলার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেণ। কিন্তু ৫ আগষ্ট পট পরিবর্তনের পর দৃশ্যপট পাল্টে যায়। কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা/কর্মচারী বিশেষ করে যারা বিগত ১৭/১৮ বছর বিভিন্নভাবে নির্যাতিত এবং বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের পক্ষে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বিগত ১৭/১৮ বছর যারা বিএমডিএ-তে তাদের রাম-রাজত্ব কায়েম করেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র মতে, অবৈধ টেন্ডার এবং কোটেশন বাণিজ্য অব্যাহত থাকে। ট্যান্সফার- পোস্টিং, পদোন্নতি, মাস্টাররোল কর্মচারীদের নিয়োগ বাণিজ্য করে যারা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি দেওয়া ব্যক্তিবর্গ, পতিত সরকারের সময় নিয়োগ প্রাপ্ত পিডি, অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নেওয়া কর্মকর্তা/কর্মচারী, ফ্যাসিষ্ট সরকারের বিরোধী মতাবলম্বী যারা ১৭/১৮ বছর ধরে ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা এলাকায় কর্মরত রয়েছেন- তাদের বদলীর বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানানো হলেও কোন ব্যবস্থা গৃহিত হয়নি। এমনকি ৮৪তম বোর্ড সভায় এ বিষয়টি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গৃহিত হলেও অজ্ঞাত কারণে ইডি নীরব ভূমিকা পালন করেন। বিগত সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট লোকজনদেরকে পুনর্বাসন ও নানাবিধ সুবিধা দিয়ে নির্বাহী পরিচালক আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকারের দোসর হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। ফ্যাসিস্ট সরকার পরিবর্তনের প্রাক্কালে সরকার
বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন ৪ ও ৫ আগষ্ট- ছাত্র/জনতার অন্দোলনে বিএমডিএ’র যে সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী লাঠিসোঠা নিয়ে নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর রাজশাহীর সাহেব বাজার চত্বরে আক্রমন করেছে ও সার্বক্ষনিক ফ্যাসিষ্ট সরকারকে সহায়তা করেছে তাদের বিরুদ্ধে তিনি কোন প্রকার প্রশাসনিক ব্যাবস্থা গ্রহন করেননি। বৈষম্যের শিকার সকল কর্মকর্তা/কর্মচারি বারবার দাবী জানালেও তিনি তার অবস্থানে অনড় থেকেছেন। এমনকি আওয়ামী মদদপুষ্ট কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি যিনি ৪ আগষ্ট লাঠি মিছিলের নেতৃত্ব দেন, তাকে অদ্যবধি নির্বাহী পরিচালক তার নিজের ড্রাইভার হিসেবে (প্রধান কার্যালয়ে) বহাল রেখেছেন। গত (৯ ডিসেম্বর ২০২৪) ভ‚-গর্ভস্থ সেচনালা বর্ধিতকরণের মাধ্যমে সেচ এলাকা সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ৯৫টি লটের বিপরীতে দরপত্র আহবান করা হয়। গত (২৩ ডিসেম্বর ২০২৪) প্রকল্পের পিডি মোঃ শহীদুর রহমান স্বীকারোক্তি দেন, ইডি’র নির্দেশে তত্ত¡্ধসঢ়;বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমানকে ৩০টি লটের গোপন রেট দেয়া হয়েছে যা সম্পূর্ণরুপে চাকরিবিধিমালার পরিপন্থী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালককে লিখিতভাবে ব্যাবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করলেও তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। অনিয়মের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকায় এবং ঠিকাদারদের রোষানলে পড়ায় বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে তড়িঘড়ি করে দরপত্র বাতিলের ব্যাবস্থা করেন। নির্বাহী পরিচালকের যোগশাজসে দরপত্র রেট কেনা-বেচা হওয়ার জের হিসেবে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শারীরিকভাবে লাঞ্চিত হন এবং তা জাতীয় পত্রিকায় ফলাওভাবে প্রচারিত হয়।
গত (২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫) ইডি বদলী হওয়ার পর ফ্যাসিষ্ট সরকারের দোসরদের পুনর্বাসনের লক্ষে তড়িঘড়ি করে ১৩ মার্চ ২০২৫ ২টি আদেশে ২৫ জন এবং ১৮ মার্চ ৪টি আদেশে ২৭ জন কর্মকর্তা/ কর্মচারিকে বদলী করেন। গত ২৩ মার্চ দায়িত্ব হস্তান্তর করলেও তিনি অবৈধভাবে ৮ এপ্রিল ৩টি আদেশে ৫ জন এবং ৯ এপ্রিল ১টি আদেশে ২ জনকে বদলী করেণ। বদলী/দায়িত্ব হস্তান্তরের পরেও নির্বাহী পরিচালকের ব্যাপকভাবে এরকম ৫৯ জন কর্মকর্তা/কর্মচারিকে বদলী করা উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং চাকরি বিধিমালার পরিপন্থী।
এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারী মহাপরিচালক, বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড-এ ইডিকে পদায়ন/বদলি আদেশ করার পরও আওয়ামী মদদপুষ্ট ও দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিরুল ইসলাম (তত্ত¡বাবধায়ক প্রকৌশলী) কে পুরস্কৃত করার উদ্দেশ্যে রাজশাহী সার্কেলের তত্ত¡বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে ১৮ মার্চ বদলির আদেশ জারী করেন। অথচ নাজিরুল ইসলাম গত সরকারের আমলে অনুমোদিত ২৫০ কোটি টাকার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন।
উল্লেখ্য যে, নাজিরুল ইসলাম গত সরকারের আমলে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের আস্থাভাজন হিসেবে ৩টি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইতিপূর্বে তার বিভিন্ন প্রকল্পের অনিয়মের চিত্র সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে।
ফসল উৎপাদনে সেচ অত্যন্ত জরুরি হওয়ায় সেচ মৌসুমে কর্তৃপক্ষের প্রায় সকল কর্মকর্তা/কর্মচারির ছুটি বাতিল করে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেচের সার্বিক কাজ সম্পন্ন করে ফসল রক্ষার চেষ্টা করা হয়। অথচ নির্বাহী পরিচালক অর্ধ দিবসের (বেলা ১১টা হতে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত) বেশি সময় অফিসে বসেন না। বিভিন্ন অজুহাতে প্রায়শঃ অফিসে অনুপস্থিত থাকেন। তার যোগদান করা প্রায় ০৮/০৯ মাস পেরিয়ে গেলেও তিনি অদ্যাবধী মাঠ পর্যায়ের কোন অফিস পরিদর্শন করেননি বা কর্তৃপক্ষের সেচ কার্যক্রম নিয়ে মাঠ পর্যায়ের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারির সঙ্গে ভাল-মন্দ আলাপ করেননি। এছাড়া নির্বাহী পরিচালক হয়েও তিনি কর্তৃপক্ষের কোন সভায় উপস্থিত থাকেন না। যোগদানের পর অত্র কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা/কর্মচারি নিয়ে তিনি কোন মাসিক সভা, আলোচনা সভা বা কোন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেননি। কর্তৃপক্ষে চেয়ারম্যান নিযুক্ত হওয়ার পর চেয়ারম্যানের অনুরোধে মাসিক সভা, বার্ষিক সভাসহ অন্যান্য সভা আয়োজিত হলেও তিনি কোন একটি সভা বা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেননি।
বিএমডিএ’র তত্ত¡বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান, যিনি বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের রাজশাহী অঞ্চলের চাকরি বিষয়ক সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের মনোনিত আইইবি রাজশাহী কেন্দ্রের সদস্য। তিনি নির্বাহী পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলামের বন্ধু ও পরমর্শদাতা ও কুটকৌশলের হোতা। নির্বাহী পরিচালক দিনে যে ২/৩ ঘন্টা অফিস করেন তার ৯০% সময় তার সাথে ব্যয় করেন।
নির্বাহী পরিচালকের ছাত্র জীবনের অনেক বন্ধুর তথ্যে দেখা যায়, তিনি সরাসরি ছাত্র ইউনিয়নের এবং পরবর্তীতে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। অফিস কক্ষে ধূমপানের জন্য তার আলাদা স্মোকিং জোন রয়েছে। সেই স্মোকিং জোনে জুনিয়র কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও শিবির আহমেদসহ ধূমপান করেণ। ইডি মোঃ শফিকুল ইসলাম পতিত সরকারের মেয়াদে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের এক সময়ের ব্যক্তিগত সহাকারী, যিনি পরবর্তীতে সাবেক মেয়রের সুপারিশে বিএমডিএ’র নির্বাহী পরিচালক (ইডি) হিসেবে যোগদান করেন। বিগত সরকারের সময়ে তিনি মেহেরপুর জেলার জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন এবং উনার স্ত্রী বিগত সরকারের আশির্বাদপুষ্ট হয়ে রাজশাহী জজকোর্ট এ এপিপি’র দায়িত্ব পালন করেন।
সর্বশেষ বিএমডিএ’তে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারিদের অনাস্থা ও চাপের মুখে গত ২৩ মার্চ বিএমডিএ’র নির্বাহী পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম খানকে দায়িত্ব হস্তান্তর করে অফিস থেকে বের হয়ে যান। ওই সময়ে কোনরকম অশোভন বা অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটলেও তিনি প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে মন্ত্রণালয়ে তিলকে তাল বানিয়ে অভিযোগ করেণ। গত ২৫ মার্চ মিথ্যাভাবে সাজিয়ে-গুছিয়ে ১৩ জন কর্মকর্তা/কর্মচারির নামে ও অজ্ঞাত ৫০/৬০ জনের বিরুদ্ধে রাজশাহী মহানগরের রাজপাড়া থানায় মামলা (মামলা নং-১৪, তারিখ-২৫/০৩/২০২৫) করেন।
ইডি’র অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৫ মার্চ কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান স্বাক্ষরিত বাধ্যতামূলক অবসরের একটি চিঠি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম খান (অতি. প্রধান প্রকৌশলী) কে দেন। অথচ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম খান (অতি. প্রধান প্রকৌশলী) স্বেচ্ছায় উক্ত দায়িত্ব গ্রহণ করেননি বরং মোঃ শফিকুল ইসলাম নিজেই কর্মচারিদের দাবির প্রেক্ষিতে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম খানকে ওই দায়িত্ব হস্তাস্তর করেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান ২৫ মার্চ আরও ২জন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন এবং ০৮ জন কর্মচারিকে কারন দর্শানো নোটিশ জারী করেন। অধিকন্ত গত ২৭ মার্চ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আহমেদ ফয়সল ইমামকে আহবায়ক করে ৬ (ছয়) সদস্যবিশিষ্টি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এতে বিএমডিএ কর্মকর্তা/কর্মচারিদের মধ্যে এক ধরনের আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার কারণ, সত্যতা বা কোনরুপ যাচাই-বাছাই ছাড়াই কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব এই বাধ্যতামূলক অবসর এবং সাময়িক বরখাস্ত আদেশ জারি করেন। মহামান্য হাইকোর্ট কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব এর এই বাধ্যতামূলক অবসর, সাময়িক বরখাস্ত আদেশ এবং মনগড়া তদন্ত কমিটি গঠন অযৌক্তিক হওয়ায় গত ০৯ এপ্রিল ০৬ মাসের জন্য তা স্থগিত করেন। ইডি মোঃ শফিকুল ইসলাম প্রশাসন ক্যাডারের হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে তিনি বিএমডিএ’র কর্মকর্তা/কর্মচারিদের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে অ্যারেস্টের চেষ্টাসহ বিভিন্নভাবে হেনস্তা করেন। বিএমডিএ’র কর্মকর্তা/কর্মচারিদের অনাস্থা ও চাপের মুখে স্ব-ইচ্ছায় এবং স্ব-সম্মানে কোনরুপ উচ্চবাচ্য ছাড়া কর্তৃপক্ষের গাড়িতেই অফিস ত্যাগ করার বাস্তব ঘটনাটি মিথ্যাভাবে সাজিয়ে ইডি মোঃ শফিকুল ইসলাম বিএমডিএ’র কর্মকর্তা/কর্মচারিদেরকে চরমভাবে কোনঠাসা করে ফেলেছেন। ফলে বিএমডিএ’র স্বাভাবিক সেচ কাযক্রম বিঘিœত হচ্ছে এবং কর্মকর্তা/কর্মচারিদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে। নির্বাহী পরিচালকের এহেন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরুপ গত ২৬ মার্চ বিএমডিএ’র সর্বস্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারিগণ এবং কৃষকগণ-সহ রাজশাহী প্রধান কার্যালয়ে এবং গত ২৭ মার্চ বিএমডিএ ঠাকুরগাঁও ও রংপুর অঞ্চলে মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
কর্তৃপক্ষের আওতায় চলতি বোরো মৌসুমে ১৬৮৬৩ টি সেচযন্ত্র দ্বারা প্রায় ৬ লক্ষ হেক্টর জমিতে সেচ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিরাজমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে বিপুল পরিমান জমিতে সেচ কাযক্রম ব্যহত হবে অশঙ্কা রয়েছে। ফলে সেচের অভাবে ফসল উৎপাদন ব্যহত হতে পারে বলে উদ্বিগ্ন বিশ্লেকরা।
নির্বাহী পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক প্রধান এবং সকল কার্যক্রম তার মাধ্যমেই পরিচালিত হওয়ার কথা। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে তার অনুপস্থিতি, দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অদক্ষতা, দূর্নীতি, বদলী বানিজ্য, নিয়ম বহির্ভূত কাজসহ ফ্যাসিবাদি নীতি অবলম্বনের জন্য বিএমডিএ’র অধিক্ষেত্রে কৃষি তথা সেচ কার্যক্রম ব্যহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
তার বিরুদ্ধে দ্রুত যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নিকট উত্তরবঙ্গের স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানটির সর্বস্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারিগণ দাবী জানিয়েছেন বলে বিএমডিএর একাধীক সূত্রে জানা গেছে।