নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীতে রাতের আধারে ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক এক নারীকে শ্লীলতাহানী ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আলমগীর হোসেন নামের এক ব্যক্তি’র বিরুদ্ধে। ঘটনাটি প্রতিবেশিদের মধ্যে জানাজানি হলে লজ্জা-অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার লক্ষ্যে ঘাস পোড়ানো বিষপান করেছেন মোসাঃ সেলিমা বেগম (৪৫), নামের ওই নারী। পরে তাকে তার পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৩৭ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করেছেন। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ভুক্তভোগী নারী সেলিমা বেগম নগরীর চন্দ্রিমা থানার নারিকেল বাড়িয়া কৃষি কলেজ এলাকার বাসিন্দা। অপরদিকে, অভিযুক্ত ব্যক্তি মোঃ আলমগীর হোসেন (৫০), তিনি বিনোদপুর বাজার এলাকার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, পরিবারে অভাব অনাটনের কারনে দীর্ঘদিন যাবত অভিযুক্ত আলমগীর কসাইকে নগদ টাকা ধার দিতেন। সেই টাকা দিয়ে আলমগীর গরু কিনে মাংসের ব্যবসা করে পূনরায় টাকা ফেরত দিতেন। সেই সাথে লাভ হিসেবে অতিরিক্ত কিছু টাকা দিতেন। এরই ধারাবাহিকতায় আলমগীর ওই নারীর কয়েক হাজার টাকা আটকে দেন। সেই টাকার জন্য চাপ দেওয়ায় আলমগীর ক্ষিপ্ত হয়ে গত অনুমানিক ১৫দিন পূর্বে রাতের আধারে সেলিমা বেগমের বাড়িতে প্রবেশ করেন। ওই সময় তিনি কৌশলে বাইরে থেকে ঘরের দরজা খুলে মুখচেপে ধরে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লিলতাহানী ও ধর্ষণ চেষ্টা করেন। নিজেকে রক্ষা করতে নারী অভিযুক্তকে লাথি মেরে চিৎকার শুরু করলে আলমগীর পালিয়ে যান। তবে প্রতিবেশীদের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এনিয়ে এলাকায় ব্যপক চর্চা শুরু হলে লজ্জা ও অপমান সহ্য করতে না পেরে বাড়িতে থাকা ঘাস পোড়ানো বিষপান করেন সেলিমা বেগম।
ভুক্তভোগী নারীর ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বোনের সাথে অন্যায় করেছেন আলমগীর হোসেন। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে ধামাচাপা দিতে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দারস্থ হয়েছিলাম। কিন্তু আপোষ মিমাংসা প্রক্রিয়ার মধ্যে না গিয়ে অভিযুক্ত আলমগীর উল্টা হুমকি-ধামকি এবং থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। একদিকে অপপ্রচার অপরদিকে আলমগীরের হুমকি সহ্য করতে না পেরে আমার বোন আত্মহত্যার লক্ষ্যে বিষপান করে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এ ব্যপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি।