
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আন্তঃজেলা ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের প্রধান মোঃ বিল্লু মিয়ার সহযোগী ও ডাকাত দলের গুরুত্বপূর্ণ ০২ জন সদস্যকে রাজধানীর আদাবর ও ডেমরা থানা এলাকা থেকে লুন্ঠিত মালামালসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-২।
“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণ প্রতারকদের গ্রেপ্তার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িতদের দ্রæততম সময়ে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে সিএনজি-অটোরিক্সা ছিনতাই এর ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে র্যাব-২ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে ডাকাত দলনেতা বিল্লু ও তার ০৩ সহযোগীকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে। চক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত থাকে। এরই ধারাবাহিকতায়, রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আন্তঃজেলা ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের প্রধান মোঃ বিল্লু মিয়ার সহযোগী ও ডাকাত দলের গুরুত্বপূর্ণ ০২ জন সদস্য ১। মোঃ রাজা@ রাজু (৩৮), ২। মোঃ কামাল (৩২)’কে রাজধানীর আদাবর ও ডেমরা থানা এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে লুন্ঠিত মালামালসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-২। উদ্ধার করা হয় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত, ০১টি ফোল্ডিং চাকু, ০১ টি ৫০০০ হাজার ভোল্ট ইলেক্ট্রিক টেজারগান, ০৪টি ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা, ০১টি মটরসাইকেল, ০৪টি মোবাইল ফোন।
অদ্য ১২/০৪/২০২৫ ইং তারিখে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল আন্তঃজেলা ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য মোঃ রাজা@ রাজু (৩৮)’কে রাজধানীর আদাবর থানা এলাকা হতে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে আসামির দেওয়া তথ্যমতে, রাজধানীর ডেমরা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তার অন্য সহযোগী ও ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য মোঃ কামাল (৩২)’কে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের নিকট হতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ০১টি ফোল্ডিং চাকু, ০১ টি ৫০০০ হাজার ভোল্ট ইলেক্ট্রিক টেজারগান, ০১ টি মটরসাইকেল, ০৪ টি মোবাইল ফোন এবং আসামিদের দেওয়া আরো তথ্যমতে যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা হতে লুন্ঠিত ০৪ টি ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি, অস্ত্র, মাদক ব্যবসা ও সিএনজি অটোরিক্সা ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত। তাদের দলের মহিলা ডাকাত সদস্য যাত্রী সেজে সিএনজি-অটোরিকশা ভাড়া নেয় এবং পরবর্তীতে নির্ধারিত স্থানে নিয়ে গিয়ে দলের অন্যান্য সদস্যরা মারধর করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সিএনজি-অটোরিকশা ছিনতাই ও ডাকাতি করে নেয়। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে তাদের চক্রের ক্রেতা রয়েছে বলে স্বীকার করে। তারা সিএনজি প্রকারভেদে ৬০,০০০-১,১০,০০০/- টাকায় ও অটোরিকশা ২৫,০০০-৫০,০০০/- টাকায় কিনে সর্বশেষ ধাপে তাদের নির্ধারিত গ্যারেজ মালিকদের কাছে দ্রুত বিক্রি করে অথবা বাহ্যিক কাঠামো পরিবর্তন করে ঢাকার বাইরে বিক্রি করে দেয়। অনেক ক্ষেত্রে আসামিরা মালিকের সাথে যোগাযোগ করে চাঁদার বিনিময়ে লুন্ঠিত গাড়ী ফেরত দেয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতে র্যাব-২ এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি, অস্ত্র, মাদক ব্যবসা ও সিএনজি অটোরিক্সা ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত। তাদের দলের মহিলা ডাকাত সদস্য যাত্রী সেজে সিএনজি-অটোরিকশা ভাড়া নেয় এবং পরবর্তীতে নির্ধারিত স্থানে নিয়ে গিয়ে দলের অন্যান্য সদস্যরা মারধর করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সিএনজি-অটোরিকশা ছিনতাই ও ডাকাতি করে নেয়। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে তাদের চক্রের ক্রেতা রয়েছে বলে স্বীকার করে। তারা সিএনজি প্রকারভেদে ৬০,০০০-১,১০,০০০/- টাকায় ও অটোরিকশা ২৫,০০০-৫০,০০০/- টাকায় কিনে সর্বশেষ ধাপে তাদের নির্ধারিত গ্যারেজ মালিকদের কাছে দ্রুত বিক্রি করে অথবা বাহ্যিক কাঠামো পরিবর্তন করে ঢাকার বাইরে বিক্রি করে দেয়। অনেক ক্ষেত্রে আসামিরা মালিকের সাথে যোগাযোগ করে চাঁদার বিনিময়ে লুন্ঠিত গাড়ী ফেরত দেয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতে র্যাব-২ এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।