বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের চিতলমারী সদরের একটি পাঁচতলা ভবনে সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ধোঁয়ায় শ্বাসরোধ হয়ে অনিতা রায় (৪০) নামে এক নারী গৃহপরিচারিকার মৃত্যু হয়েছে। ভবন থেকে রোগীসহ অন্তত ৮০জনকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। প্রায় ৪ ঘন্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিদ্যুতের সট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত বলে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছে ফায়ার সার্ভিস। তবে আগুনে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমান কত তা জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শাহদাৎ হোসেন জানান, সোমবার সকাল সাড়ে দিকে চিতলমারী উপজেলার সদরের একটি পাঁচতলা ভবনে হঠাৎ করে আগুন ও আগুনের ধোঁয়া উড়তে দেখে স্থানীয়রা। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। প্রায় ৪ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে তারা আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ভবনের নিচতলায় মার্কেট, দুই তলায় সোনালী, কৃষি, আইএফআইসি, ব্যাংক অব এশিয়ার কার্যালয়। তিনতলা একটি বেসরকারি ক্লিনিক, চারতলা ও পাঁচতলাতে রয়েছে আবাসন। আগুনে ভবনটি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
এসময়, ভবনে থাকা লোকজন বাইরে নেমে আসার সময় চারতলার সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় একজন নারী পড়ে গিয়ে মারা গেছেন।
ধোঁয়ায় শ্বাসরোধ হয়ে অনিতা রায় নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তিনি ওই ভবনের তাপস নামে এক চিকিৎসকের বাসার গৃহপরিচারিকা ছিলেন। তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।
এসময়, ভবনে থাকা লোকজন বাইরে নেমে আসার সময় চারতলার সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় একজন নারী পড়ে গিয়ে মারা গেছেন।
ধোঁয়ায় শ্বাসরোধ হয়ে অনিতা রায় নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তিনি ওই ভবনের তাপস নামে এক চিকিৎসকের বাসার গৃহপরিচারিকা ছিলেন। তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের খুলনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, চিতলমারী সদরের একটি পাঁচতলা ভবনে আগুন লাগার খবর পেয়ে খুলনা, বাগেরহাট ও গোপালগঞ্জের আটটি ইউনিট নিয়ে সেখানে পৌছাই। সেখানে পৌছে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা পানি ছিটিয়ে বেলা সাড়ে বারোটায় দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। ভবনের নিচতলার একটি পোশাকের দোকান থেকে বিদ্যুতের শট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
বাগেরহাট সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন মো. রায়হান জানান, চিতলমারীতে আগুন লাগার খবর পেয়ে সেখানে যেয়ে দেখি ভবনের চারিদিকে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। ভবনে থাকা ক্লিনিকে ভর্তি রোগী এবং আবাসিকে কিছু মানুষ আটকে পড়ে। তাদের নিরাপদে নামিয়ে আনতে সেনা সদস্যরা ভবনে ঢুকে তাদের নামিয়ে আনে। সব মিলিয়ে অন্তত ৮০জনকে আমরা নিরাপদে সরিয়ে এনেছি। এরমধ্যে যারা রোগী তাদের হাসপাতালে ভর্তি করেছি।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসান বলেন, আমি ঘটনাস্থলে রয়েছি। আগুন এখন নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। খয় ক্ষতির পরিমাণের বিষয়টি পরে জানানো হবে।