নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার বিতর্কীত সেকেন্ড অফিসার এসআই এ.টি.এম আশেকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) অপরাহ্নে তাকে চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত (২১ ফেব্রæয়ারী) “চালান দেওয়া আসামী পথে থেকে ফিরিয়ে থানায় নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ মতিহার থানার সেকেন্ড অফিসারের বিরুদ্ধে” শিরোনামে একটি সংবাদ একাধীক অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সাপ্তাহিক বাংলার বিবেক, দৈনিক বার্তা পত্রিকা-সহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সংবাদটিঁ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি গোচর হলে।
মতিহার থানায় কর্মরত এ. টি.এম আশেকুল ইসলাম, বিপি-৮৮১৪১৬৬৩৪৪, কমিশনার আদেশ নং-১১৬২ তারিখ-০১/৩/২০২৫ মূলে বর্ণিত এসআই্ ৩৯;কে প্রশাসনিক কারণে পুলিশ লাইন্স, আরএমপি, রাজশাহীতে সংযুক্ত করে অবিলম্বে সংযুক্তকৃত কর্মস্থলে যোগদানের আদেশ প্রদান করা হয়। বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানের নিমিতে বিভিন্ন সময়ে কন্ট্রোলরুমের মাধ্যমে বার্তা প্রদান করা হলেও ছাড়পত্র গ্রহণ না করায় খারক নং- ৪৪,০১,০০০০,৯৮৮.১৬.৭০৭.২৫.২০৯২ তারিখ-১৯/৩/২০২৫ মূলে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানের নিমিত্তে ১৯/৩/২০২৫ তারিখের মধ্যে ছাড়পত্র গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয় এসআই আশিককে।
কিন্তু তিনি বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান না করে বদলির আদেশ বাতিলের জন্য বিভিন্নভাবে অনৈতিক তদবির করছেন, যা উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বৈধ আদেশের প্রতি অবজ্ঞা, বিভাগীয় নিয়ম শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও অসদাচরণের সামিল এবং গুরুতর শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমতাবস্থায় উপরোক্ত কার্যকলাপের প্রেক্ষিতে এসআই এ.টি.এম আশেকুল ইসলাম, বিলি-৮৮১৪১৬৬৩৪৪্#৩৯;কে পুলিশ রেগুলেশন, ১৯৪৩ এর প্রবিধান ৮৮০ মোতাবেক গত বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) অপরাহ্নে চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন কর্তৃপক্ষ। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিএসআর-৭১ মোতাবেক খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন। সেই সাথে তাঁর ভোগরত নৈমিত্তিক ছুটিও বাতিল করা হয়। রাজশাহীতে দূর্গাপুরে যৌতুক না পেয়ে বউকে পিটিয়ে হত্যা ঘাতক স্বামী শাহিনুর গ্রেফতার মাসুদ রানা রাব্বানী,
রাজশাহী: রাজশাহীর দূর্গাপুরে যৌতুক না পেয়ে বউকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ঘাতক স্বামী মোঃ শাহিনুরকে গ্রেফতার করেছে র্যাব- রবিবার (২৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানাধীন হড়গ্রাম বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মোঃ শাহিনুর (৩০), সে রাজশাহীর দূর্গাপুর থানার আনুলিয়া গ্রামের মোঃ আঃ জলিলের ছেলে। রবিবার দুপুরে ব্যাব-৫, রাজশাহীর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। র্যাব জানায়, গত ৫ বছর পূর্বে মোছাঃ আফরিন আক্তার বৃষ্টির (২২), সাথে মোঃ শাহিনুরের (৩০) বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই বৃষ্টির শশুর বাড়ীর পক্ষ থেকে যৌতুক দাবী করে আসছিলো। পরিবার মেয়ের সুখের কথা বিবেচনা করে আড়াই লাখ টাকা যৌতুক দেয় শাহিনুরকে।
এর পরেও তার বাবা ও মায়ের প্ররোচনায় গৃহবধূকে যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময়ে মারপিট এবং শারীরিক নির্যাতন ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করতে থাকে। পরে বিদেশ যাওয়ার জন্য শাহিনুর ৩ লাখ টাকা দাবী করলে তাকে পুনরায় ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা প্রদান গৃহবধূর পরিবার। এর পরেও গৃহবধূ বৃষ্টিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে এবং আরো টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় (১৪ মার্চ) দুপুরে ২টায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ বৃষ্টিকে নিজ শয়ন কক্ষের ভিতরে দরজা-জানালা বন্ধ শাহিনুর, তার মা- বাবা ও ননদ মিলে মারপিট করে ঘরের ভিতর মরদেহ ফেলে দরজা-জানালা বন্ধ করে তারা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নিহত বৃষ্টির পিতা বাদী হয়ে দূর্গাপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন, মামলার পর গত (১৬ মার্চ) দুপুর ২টায় র্যাব-৫, সিপিএসসি, রাজশাহীর একটি আভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার ২নং আসামী মোঃ আঃ জলিল (৫৫) ও ৩নং আসামী মোছাঃ শ্যামলীকে (৩৫) দূর্গাপুর থানাধীন আনুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। কিন্তু মূলহোতা ঘাতক স্বামী পালাতে পালিয়ে যায়। অবশেষে রবিবার সকাল সাড়ে ৮টায় মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানাধীন হড়গ্রাম বাজার এলাকা থেকে ঘাতক স্বামী শাহিনুরকে গ্রেফতার করে র্যাব। গ্রেফতার আসামী শাহিনুরকে রবিবার দুপুরে দূর্গাপুর থানার মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।