ঠাকুরগাঁওয়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীরা শিক্ষা উপবৃত্তি চাই

আপলোড সময় : ১৯-০৩-২০২৫ ০৮:২৪:২৮ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৯-০৩-২০২৫ ০৮:২৪:২৮ অপরাহ্ন





নিজস্ব প্রতিবেদক
 
পেয়ার আলী ঠাকুরগাঁও: সিমান্তের কোল ঘেঁষা ঠাকুরগাঁও জেলা। এই জেলায় রয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকেদের বসবাস। এই সম্প্রদায়ের কমবেশি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। প্রতিবছর প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে থেকে আসা উপবৃত্তি সহ শিক্ষা সামগ্রী  উপকরণ  চট্টগ্রাম ব্যতীত সমতলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের ছাত্র- ছাত্রীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। এই উপবৃত্তি এবং শিক্ষা সামগ্রী উপকরণ দেওয়া হইতো এই জন্য যে চট্টগ্রাম এবং সমতলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা তারা যেনো পড়াশোনা থেকে পিছিয়ে না পড়ে তার জন্য। এবং বাকি মূলস্রোতার লোকেদের ছেলে মেয়েদের মতো তারা যেনো পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে।

৫ আগস্ট যখন ছাত্র জনতার সংগ্রামের চাপে পড়ে ফ্যাসিবাদী আ'লীগের সাবেক প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যায়। কিন্তু সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীরা আর কোন উপবৃত্তি এবং শিক্ষা সামগ্রী উপকরণ পাইনি। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নেতাকর্মীদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূসের কাছে একটায় দাবি চট্টগ্রাম ব্যতীত সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের আবারো যেনো পড়ালেখার জন্য উপবৃত্তি এবং শিক্ষা সামগ্রী উপকরণ দেওয়া হয় তাহলে উপকৃত হতো। ঠাকুরগাঁও জেলায় রয়েছে কয়েটি থানা যেমন, ঠাকুরগাঁও সদর, বালিয়াঙ্গী, হরিপুর, পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল, সহ জেলায় দুটি নবগঠিত থানা রুহিয়া এবং ভু্ল্লি থানায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করেন।

এই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের কথা চিন্তা করে দেখলে ভাবা যায় যে, এই (ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী)  সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ উভয়ে অন্যের জমিতে কাজ করে জীবিকানির্বাহ করেন। এইভাবে দিন, আনেন দিন খান, তারপরেও তারা তাদের ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা করান।

এই বিষয়ে ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলা আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সংগঠনের সহ সভাপতি শান্ত পাহানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। এই সত্যি কিন্তু বাকি সব নাগরিকদের মতো আমাদের সবার সমান অধিকার রয়েছে। আমরা আদিবাসী এইটাই আমরা স্বীকার করি। কিন্তু সাংবিধানিক আদিবাসী হিসেবে আমরা এখনো এই দুইবার স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি পাইনি। তাতে আমাদের কোন দুঃখ নেই। দুঃখ শুধু আমার একটায় কেনো আর আমাদের আদিবাসী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে না সেইটা নিয়ে। আমি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ প্রফেসর ইউনূস সরকারের কাছে অনুরোধ করবো আদিবাসীদের পিছিয়ে রেখে দেশের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব না। তাই আবারো সমতলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তি এবং শিক্ষা সামগ্রী উপকরণ দেওয়া হোক এইটাই দাবি।






 

সম্পাদকীয় :

প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ গোলাম মাওলা শাওন
মোবাইল : ০১৭১১-০০৬২১৪

অফিস :

প্রধান কার্যালয় : ৩১/১ শরীফ কমপ্লেক্স ৫ম তলা পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০

মোবাইল : ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০

ই-মেইল : [email protected],  [email protected]