নিজস্ব প্রতিবেদক
গত ২৮/০১/২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ২২.৩০ ঘাটকার সময় ভিকটিম (২২) এর রাজবাড়ী সদর থানাধীন শ্রীপুরস্থ ভাড়াবাসায় মেহমান হারুন (৪০) প্রবেশ করলে আসামী মিঠুন (২৮) সহ অপরাপর আসামীগণ উক্ত বাসায় এসে ভিকটিম ও হারুন অসামাজিক কার্যকলাপ করছে, বলে ভয় দেখিয়ে হারুনের নিকট ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা দাবী করে। নগদ ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা এবং বিকাশের মাধ্যমে ৬৭,০০০/- (সাতষট্টি হাজার) টাকা আসামীগণ হারুনের কাছ থেকে জোরপূর্বক নিয়ে নেয়। অবশিষ্ট টাকা না পেয়ে আসামী মিঠুন (২৮) সহ অপরাপর আসামীগণ ভিকটিমকে গত ২৯/০১/২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ০৪.৪০ ঘাটকার সময় পালাক্রমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিম (২২) নিজে বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি জানতে পেরে উল্লেখিত ঘটনায় জড়িত আসামী আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখিত ধর্ষণে জড়িত আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে অধিনায়ক, র্যাব-১০, ঢাকা বরাবর একটি অধিযাচনপত্র প্রেরণ করেন। উক্ত অধিযাচনপত্রের ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল উল্লেখিত আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৭/০৩/২০২৫ তারিখ দুপুর অনুমান ১৫.০০ ঘটিকায় র্যাব- এর উক্ত আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় রাজবাড়ী সদর থানাধীন আলাদিপুর এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে রাজাবাড়ী সদর থানার মামলা নং- ৩৭, তারিখ- ২৯/০১/২০২৫, ধারা- ৯(৩)/৩০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০২০); তৎসহ ৩৮৫/৩৮৬ পেনাল কোড, ১৮৬০ এর গণধর্ষণে জড়িত এজাহারনামীয় পলাতক আসামী মিঠুন (২৮), পিতা- রহমত, সাং- শ্রীপুর বাজারের পিছনে, থানা- রাজবাড়ী সদর, জেলা- রাজবাড়ী‘কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।