নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
স্বামী থাকার পরও ফ্রান্স প্রবাসীকে বিয়ে করে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে ঈশিতা (২৫) নামের এক বিবাহিত যুবতীর বিরুদ্ধে। তিনি সিরোইল মটপুকুর খুলিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। অপর দিকে ভুক্তভোগী মোঃ সাইফুল ইসলাম, তিনি নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার জলকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে ফ্রান্স প্রবাসি তিনি।
ভুক্তভোগী প্রবাসী সাইফুল ইসলাম জানায়, ২০২১ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুকে) পরিচয় হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং ২৬ মে ২০২২ সালে তারা নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে কোর্ট এফিডেভিট করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের ৪০দিনের পরে ভুক্তভোগী জানতে পারেন, ইতিপূর্বে ঈশিতার ২বার বিবাহ হয়েছিলো।
তার মধ্যে প্রথম স্বামীর পক্ষের ২বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। শুধু তাই নয় স্বামী থাকাকালীন সময়ে তিনি মিথ্যা কথা বলে ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়ে নিজেকে কুমারী বলে প্রবাসীকে বিবাহ করেন। পরবর্তীতে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায় ঈশিতার দ্বিতীয় স্বামীর সাথে সংসার অব্যাহত রেখেছিলেন এবং তৃতীয় স্বামী হিসেবে ভুক্তভোগী প্রবাসিকে বিবাহ করেন। বিষয়টি প্রবাসি সাইফুল ইসলাম জানতে পারলে ঈশিতা তার দ্বিতীয় স্বামীকে ২১ জুন ২০২২ সালে তালাকের নোটিশ প্রেরণ করেন। ভুক্তভোগী প্রবাসি সাইফুল ইসলাম কাজের সুবাদে ফ্রান্সে গেলে ঈশিতা নানা কৌশলে হাতিয়ে নিতে থাকে মোটা অংকের টাকা। একাধিক পুরুষের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। যাহার একাধিক ভিডিও ও ছবি তার নিজ হোয়াটস্ধসঢ়; এ্যাপ গ্রুপে শেয়ার করে। যাহার প্রতিটি ভিডিও এবং স্টিল পিকচার সাইফুলের সংরক্ষণে রয়েছে। ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম ঈশিতার সার্বিক বিষয় জানতে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
এরই মধ্যে বিভিন্ন উসিলায় বিভিন্ন ছলনায়, বিভিন্ন কৌশলে ঈশিতা প্রবাসী ব্যাচারা সাইফুলের নিকট থেকে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার হাড় ভাঙ্গা খাটুনির টাকা নিয়ে এই ভাবে প্রতারণা করবে ঈশিতা তা তিনি কখনই কল্পনা করেননি তিনি। এ ভাবেই সংক্ষিপ্ত ঘটনার বিবরণ দেন প্রবাসী সাইফুল। তবে তিনি হাল ছাড়ার পাত্র নন। শিঘ্রই দেশে ফিরবেন তিনি। আইন আদালতের দারস্থ হবেন বলেও জানান তিনি।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে ঈশিতা বলেন, সাইফুলকে তিনি অনেক ভালবাসেন। খারাপ মানুষের সঙ্গো পেয়ে তিনি বিপথে পরিচালিত হয়েছেন। তবে এ নিয়ে তিনি অনুতপ্ত।
প্রবাসী স্বামী কাছে অর্ধকোটি টাকা নিয়ে প্রতারণার ব্যপারে জানতে চাইলে ঈশিতার মা নূর বানু জানান, আমার মেয়েকে সাইফুল শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করেছে। টাকার বিষয়ে জিানেন না বলে জানান তিনি। অন্য সব প্রশ্নের উত্তর কৌশলে এড়িয়ে যান ঈশিতার মা। তবে তাদের বক্তব্য মিথ্যা ভিত্তিহিন বলে দাবি করেছেন প্রবাসী সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ইনোসেন্ট চেহারা দেখে প্রেমে পড়েছিলাম। সংসার করবো বলে বিবাহ করেছিলাম। ৪০দিন পরেই জানলাম তার রুপের গোপন রহস্য। এখানে অত্যাচার আর নির্যাতনের সময় পেলাম কোথায়? এখন কোন অজুহাত শুনতে চাই না। আমি আমার পরিশ্রমের অর্ধ কোটি টাকা ফেরত চায় বলেও জানান প্রবাসী সাইফুল ইসলাম।