নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহীর দূর্গাপুরে যৌতুক না পেয়ে বউকে পিটিয়ে হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী জলিল ও শ্যামলীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব- রবিবার (১৬মার্চ) দুপুর ২টায় রাজশাহীর দূর্গাপুর থানাধীন আনুলিয়া এলাকায় অভিযান চাীরয়ে তাওেদর গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো: মোঃ আঃ জলিল (৫৫), সে রাজশাহীর দূর্গাপুর থানার আনুলিয়া গ্রামের মৃত ভুলির ছেলে ও মোছাঃ শ্যামলী (৩৫), সে একই এলাকার মোঃ আঃ জলিলেরর ছেলে। রবিবার বিকালে র্যাব-৫, রাজশাহীর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
র্যাব জানায়, গত ৫বছর পূর্বে মোছাঃ আফরিন আক্তার বৃষ্টির (২২) সহিত মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামী মোঃ শাহিনুরের (৩০) বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই শশুর বাড়ীর পক্ষ থেকে যৌতুক দাবী করে। পরিবার তার সংসারের সুখের কথা বিবেচনা করে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক প্রদান করে। এর পরেও তার স্বামী মোঃ শাহিনুর তার বাবা ও মায়ের প্ররোচনায় গৃহবধূকে যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময়ে মারপিট এবং শারীরিক নির্যাতন ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করতে থাকে। ভুক্তভোগী মোঃ শাহিনুর বিদেশ যাওয়ার জন্য ৩ লক্ষ টাকা দাবী করলে গৃহবধূর পরিবার তার মেয়ের সুখের জন্য পুনরায় ০২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা প্রদান করে। কিন্তু এর পরেও গৃহবধূর স্বামী ও তার পিতা-মাতা গৃহবধূকে শারীরিক ও মানসিকভারে নির্যাতন করতে থাকে এবং আরো টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। গত শনিবার (১৪মার্চ) দুপুর ২টায় দূর্গাপুর থানাধীন আনুলিয়া গ্রামের ১নং আসামীর শয়ন কক্ষের ভিতরে দরজা-জানালা বন্ধ করে তার স্বামী, শশ্বুর,
শাশুড়ী ও ননদ মিলে মারপিট করেছে বলে মোবাইল ফোনে গৃহবধূর পরিবারের নিকট জানায়। এতে তার শশুরবাড়ীর লোকজন আরো বেশী ক্ষিপ্ত হয়ে গৃহবধূর তলপেটে লাথি মারে ও অন্যান্য বিবাদীগন শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে ঘরের ভিতর মৃতদেহ ফেলে দরজা-জানালা বন্ধ করে আসামীগন পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে গৃহবধূর পিতা বাদী হয়ে দূর্গাপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর রবিবার দুপুরে দূর্গাপুর থানাধীন আনুলিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে তাদের দূর্গাপুর থানায় হস্তান্তর করা হয় ।