দেলোয়ার হোসেন সোহেল তানোর থেকে
রাজশাহীর তানোরে পাঁচন্দর ইউপি বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিলের প্রধান অতিথি বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মেজর জেনারেল শরিফ উদ্দিনকে রিসিফ করা নিয়ে বিএনপির দু'গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এঘটনায় উভয় পক্ষের বেশ কয়েজন আহত হয়েছেন। এর মধ্য ১ জনকে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শি ও দলীয় নেতাকর্মি সুত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ১১ মার্চ মঙ্গলবার (১০ রমজান) তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউপি বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে প্রাণপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মেজর জেনারেল শরিফ উদ্দিনকে রিসিভ করার জন্য পাঁচন্দর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মমিনুল মমিন ও পাঁচজন ইউনিয়ন বিএনপি বর্তমান সভাপতি মজিবুর রহমানের সমর্থকরা রাস্তার মোড়ে অপেক্ষা করছিলেন।
এসময় উভয়ের মধ্যে রিসিফ করা নিয়ে বিএনপির দু'গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে লাঠি সোটা নিয়ে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় উপস্থিত নেতা কর্মির দুগ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ধাক্কাধাক্কি ও খড়ির চলা নিয়ে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় উভয় গ্রুপের বেশ কয়েকজন আহত হন। এর মধ্য মমিনুল হক মমিন গ্রুপের গানিউল নামের এক বিএনপি নেতা গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এসময় উপস্থিত নেতা কর্মিরা তাকে আশংকা জনক অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে, আহত অন্যরা স্থানীয় ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন তাদের নাম পাওয়া যায়নি।
তানোর উপজেলা বিএনপি আহবায়ক আখেরুজ্জামান হান্নান বলেন, মেজর জেনারেল শরিফ উদ্দিনকে রিসিফ করা নিয়ে বিএনপির দু'গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি সান্ত হওয়ার পর মেজর জেনারেল শরিফ উদ্দিন ইফতার ও দোয়া মাহফিলে যোগ দেন। তিনি বলেন সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, বিকালে ইফতার ও দোয়া মাহফিল শুরুর অনেক আগে থেকে (আমরা যাওয়ার) আগে মমিন ও মুজিবুর গ্রুপের লোকজন মেজর জেনারেল শরিফ উদ্দিনকে রিসিফ করার জন্য রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় তাদের দুপক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলেও জানান তিনি।
এবিষয়ে পাঁচন্দর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মমিনুল হক মমিন ও পাঁচন্দর ইউপি বিএনপির সভাপতি মজিবুর রহমানের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাদের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে তানোর থানায় কোন পক্ষই কোন অভিযোগ করেননি বলে জানান তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।