রানা ইসলাম বদরগঞ্জ রংপুর
রংপুরে বদরগঞ্জে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও দেবরের বিরুদ্ধে। হাসপাতালে তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে ঐ গৃহবধূ ছটফট করছেন। ঘটনাটি ঘটে উপজেলা গোপিনাথপুর ইউনিয়ন বুড়িপুকুর এলাকায়। এ ঘটনায় গৃহবধূ মন্জুয়ারা বেগম স্বামী আবুল কাশেমকে প্রধান করে চার জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালে গোপিনাথপুর ইউনিয়ন বুড়িপুকুর এলাকায় আব্দুল কুদ্দুস ছেলে আবুল কাশেম সঙ্গে রাধানগর ইউনিয়ন ছাতারপাড় গ্রামে মৃত নজর উদ্দিন মেয়ে মন্জুয়ারার সঙ্গে বিয়ে হয়। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে আবুল কাশেমকে বিয়ের সময় নগদ টাকাসহ আসবাবপত্র ও অলংকার দেন। দীর্ঘ সময়ে সংসার করাকালে মন্জুয়ারার কোল জুড়ে তিন সন্তান আসেন। এর মধ্যে দুই মেয়ের বয়স ১৮ বছর ১৪ বছর। ছেলের বয়স ৮ বছর। ছেলে মেয়ে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবুল কাশেম ও তার ভাইয়েরা মন্জুয়ারাকে যৌতুকের জন্য কারণে অকারণে বিভিন্ন সময়ে মারধর করতেন।কিন্তুু গৃহবধূ মন্জুয়ারা সন্তানদের কথা ভেবে নির্যাতন ও অত্যাচার সহ্য করে আসতে। এর মধ্যে আটমাস আগে আবুল কাশেম মন্জুয়ারাকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিবাহ আবদ্ধ হোন। এরপরে শারীরিক নির্যাতন আরো বেড়ে যায়। ঘটনার দিন বাবার বাড়িতে থেকে দুই লক্ষ টাকা যৌতুক আনতে বললে মন্জুয়ারা এতে রাজী না হওয়ায় তার শরীরে বিভিন্ন স্হানে ধারালো কিছু একটা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ঘটনার সময় বড় মেয়ে তার মামা আজমল বাবুকে ফোন দিলে। তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে এসে বোনকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বুড়িপুকুর এলাকার কয়েকজন ব্যাক্তি বলেন, আবুল কাশেম ও তার ভাইয়েরা খুব খারাপ। প্রায় সময় ওই নারীকে কারণে অকারনে মারধর করতেন। এলাকার সবাই তাদের বিচার দাবি জানাচ্ছে।
এবিষয়ে গৃহবধূর ভাই আজমুল বাবু বলেন, এর আগেও কয়েকবার আবুল কাশেম আমার বোনের উপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছিল। স্হানীয় সামাজিক ভাবে বিষয়টি মিমাংসা করেছিলেন আবুল কাশেম।
আবুল কাশেম মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
বদরগঞ্জ হাসপাতালে উপ-সহকারী কমিউনিটি চিকিৎসক ডাঃ সানোয়ার হোসেন বলেন, হাসপাতালে আনার পর ঐ নারীর শরীরে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাতের অসংখ্য চিহ্ন রয়েছে।
বদরগঞ্জ হাসপাতালে উপ-সহকারী কমিউনিটি চিকিৎসক ডাঃ সানোয়ার হোসেন বলেন, হাসপাতালে আনার পর ঐ নারীর শরীরে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাতের অসংখ্য চিহ্ন রয়েছে।
বদরগঞ্জ থানার এসআই কিবরিয়া বলেন, ঐ ঘটনায় গৃহবধূ মন্জুয়ারা বেগম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।