ঢাকা আলিয়া প্রতিনিধি,
বইকে ঘিরে পাঠাগার, তবে কমছে পাঠক। কারণ হিসেবে উঠে আসছে পাঠাগারে নেই গ্রন্থাগারিক, পাঠকের চাহিদা মতো বইয়েরও সংকট। ঠিক তেমনি পাঠাগারে ক্যাম্পাসের পৃষ্ঠপোষকতাও খুব কম। পাঠাগার হয়নি আধুনিকায়ন। অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত পাঠাগারও থাকে বন্ধ।
উপমহাদেশের প্রাচীন দ্বীনি বিদ্যাপীঠ সরকারি মাদ্রাসা -ই-আলিয়া ঢাকার প্রতিষ্ঠার ৭৮ বছরেও হয়নি পাঠাগারের উন্নতি। পড়ার জন্য লাইব্রেরিতে গিয়ে মিলছে না সুন্দর আসন, ময়লা ও ধুলো বালিতে ভরপুর পাঠাগার এবং বুকশেলফেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না চাহিদা অনুযায়ী বই। এমনকি নেই পর্যাপ্ত ইন্টারনেট ব্রাউজিং সুবিধাও। এমনই চিত্র সরকারি মাদ্রাসা -ই-আলিয়া ঢাকার কেন্দ্রীয় পাঠাগারের।
আরবী বিভাগের শিক্ষার্থী তাশফিকুল ইসলাম জানান, `লাইব্রেরিতে বইয়ের সংখ্যা কম। আমাদের কোর্স প্ল্যানের অন্তর্গত অনেক বই-ই লাইব্রেরিতে নেই। আবার কোনো কোনো বই থাকলেও অন্য বিভাগের ৷ এর ফলে বেশিরভাগ সময় বই খুঁজে পাওয়া না । তাই সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যোগে আল্লামা কাশগরী রহঃ হল পাঠাগারে লাইব্রেরী স্থাপন ও বই সংকট নিরসনে আমরা আজ অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করি ।
জিনাত আহমেদ নামের আরেক শিক্ষার্থী জানান, পাঠাগারে নেই ইসলামী উপন্যাস,গল্প, মুসলিমদের ইতিহাস, সাহিত্য ও গবেষণা লব্ধ জ্ঞানের বই । এছাড়াও বিশেষ করে পাঠাগারে পাওয়া যায় না বিষয় ভিত্তিক কুরআন, হাদীস ও ইসলামের ইতিহাসের সাথে সম্পৃক্ত বইগুলো।
শিক্ষর্থীদের দাবি, দ্রুততম সময়ে কাশগরী রহঃ হলের পাঠাগারে লাইব্রেরী ও চাহিদা অনুযায়ী বই এবং আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করে পাঠাগারকে সমৃদ্ধ করা হোক, যাতে করে শিক্ষার্থীরা পাঠাগার থেকে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় গবেষণার সুযোগসুবিধা লাভ করতে পারে।
এসব বিষয়ে সরকারি মাদ্রাসা -ই-আলিয়া ঢাকার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর মোঃ আশরাফুল কবির বলেন, হল পাঠাগারের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে পর্যায়ক্রমে সমাধান করার চেষ্টা চলছে। আশা করি অতি দ্রুত শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী হল পাঠাগার তাদেরকে উপহার দিতে পারব।