
মোঃ সোহাগ বিশেষ প্রতিনিধি,
পটুয়াখালী সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের বাহের মৌজ গ্রামে আপন ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই ও তার ছেলেকে নির্মম ভাবে কুপিয়ে গুরতর আহত করেছেন।
১মার্চ ২০২৫ শনিবার দুপুর দুইটার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনা সূত্রে এলাকাবাসী বলেন, রাকিব দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন ও নিয়মিত মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। রাকিবের বড় ভাই মো. জসিম চকিদার কমলাপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশের দ্বায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। নিজ ভাই অপরাধ কর্ম কান্ডে জরিত এলাকায় সম্মান নিয়ে চলতে পারছেন না। জসিম চৌকিদার গ্রাম পুলিশ ও গ্রামে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা তার দ্বায়িত্ব নিজ ভাইয়ের অপরাধের কারনে সমাজে ছোট হয়ে চলাফেরা করতে হয়। বর্তমানে যৌথ বাহিনীর অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযান চলছে।
জসিম চকিদার তার ভাইদের কারনে গ্রাম পুলিশের দ্বায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সমাজে কারো সাথে উচু গলায় কথা বলতে পারেনা। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলে শুনতে হয় গ্রাম বাসীদের অপমান জনক কথা কারন জসিম চৌকিদারের তিন ভাই মো.খলিল মো. আল আমিন ও রাকিব দীর্ঘদিন ধরে গাজাঁ ও ইয়াবার ব্যবসা করে।
ঘটনার শনিবার ১মার্চ ২০২৫ দুপুরে তাদের নিজ বসত বাড়ীতে ২টার সময় জসিম তার ভাই আল আমিন ও রাকিব ভালো হয়ে জেতে বলে নইলে তোরা বাড়ী ছেড়ে দূরে গিয়ে মাদকের ব্যবসা কর। তা না হইলে আমি বাড়ী ছেড়ে চলে যাবো ওথবা তোদের কে প্রশাসনের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হবো। এই কথা বললেই ছোট ভাই রাকিব বড় ভাই জসিমের সামনে দৌড়ে গিয়ে থাক্কা দেয়। এবং বলে তুই কোন বালের গ্রামের চৌকিদার তোকে আমরা আমাগো দল আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় যখন ছিলো তখন তুই আমাগো দাপটে চলতি।
এখন তুই আমাগো প্রশাসনের ভয় দেখাও উত্তরে জসিম চৌকিদার বলেন, তোরা তো তিনও ভাই আওয়ামীলীগ আমল থেকেই মাদক বেচাকেনা করো মামলাও খাইছো কয়েক টা জেলও খাটছো কয়েক বার বাড়ির মানসম্মান সব খাইয়া এহন আবার নেতামি দেহাও আমার লগে এই কথা বলার সাথে সাথে রাকিব ও ভাই মিলে জসিম চৌকিদার কে মারা শুরে করে।
সন্তানের সামনে পিতাকে আপন চাচারা মিলে মারধর করলে তখন জসিমের ছেলে পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অনার্স পরুয়া শিক্ষার্থী মো. জুয়েল (২১) বাবাকে মারার দেখে চাচাদের বাঁধা দিলে তখন ক্ষিপ্ত হইয়া পিতার সাথে সন্তানকেও অমানুষিক ভাবে কুপিয়ে গুরতর জখম করে। জসিমের ছেলে শিক্ষার্থী জুয়েল এখন পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশংকা জনক অবস্থা চিকিৎসাধীন আছেন।
হাসপাতালে গিয়ে শিক্ষার্থী জুয়েলের কাছ থেকে জানাযায়, জুয়েল বলেন, আমার চাচারা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত এবং আমার চাচা আল আমিন কমলাপুর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, ক্ষমতায় থাকা কালিন তারা বেপরোয়া ভাবে মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করতো সরকার পতন হওয়ার পর কিছুদিন গা ঠাকা দিয়ে থাকে। বর্তমানে আমার চাচা রাকিব গনঅধিকার পরিষদের নেতা পরিচয় দিয়ে পুনরায় আবার ব্যবসা শুরু করেন। তাদের নামে পটুয়াখালী সদর থানায় ও আদালতে একাধিক মাদক মামলা চলমান থাকা সত্বেও এখন তারা বাড়ির দরজায় বসে মাদক গাজাঁ ও ইয়াবা বিক্রি করে। আজকে আমার বাবা বাঁধা দিলে প্রথমে বাবাকে মারে তারপর আমাকেও অতর্কিত ভাবে কুপিয়ে আহত করেছে।
আমাকে এলাকাবাসী কোনরকম বাচিয়ে হাসপাতালে নিয়ে এসেছে আর আমার বাবার কি অবস্থা হয়েছে আমি যানি না ওরা আমার আপন চাচা হয়ে কি ভাবে পারলে এই নিষ্ঠুর জঘন্য কাজ করতে।
এবিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, কমলাপুর ইউনিয়ন একজন গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) কে মেরেছে আমি জানতে পেরিছি আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য ভর্তি হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।