কুষ্টিয়ায় গাছ সুরক্ষা কার্যক্রম (পেরেক অপসারণ)'র উদ্বোধন

আপলোড সময় : ২৭-০২-২০২৫ ০২:৩০:২৯ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৭-০২-২০২৫ ০২:৩০:২৯ অপরাহ্ন

 

 

 

রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :


কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে গাছ থেকে মাসব্যাপি পেরেক অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। এটি দেশব্যাপি গাছ সুরক্ষা (পেরেক অপসারণ) কর্মসূচির অংশ।


বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কুষ্টিয়া কালেক্টর চত্ত্বরে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।

 

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল আলমের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার সরকার।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধি ও সাংবাদিকবৃন্দ।

বন বিভাগের কর্মকর্তা বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে গাছ লাগানোর বিকল্প নেই। শুধু গাছ লাগালেই হবে না তার পরিচর্যা এবং রক্ষণাবেক্ষণও করতে হবে। দেশের অনেক স্বার্থ মহল নেশি তারা তাদের নুজের স্বার্থ উদ্ধারের লক্ষ্যে বিজ্ঞাপন ও প্রচারের জন্য গাছের মধ্যে পেরেকপুতে বিজ্ঞাপন করে থাকে। ইহা চরম অন্যায়, আর এই অন্যায় কোন রকম মেনে নেওয়ার মত নয়। আমাদের চারপাশ গাছপালা শূন্য হয়ে যাচ্ছে। বাড়ির চারপাশে থাকা অনেক প্রাকৃতিক পরিবেশকে আমরা ধ্বংস করে ফেলছি।আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে এবং গাছের মধ্যে পেরেক যাবে না এবং গাছ ধ্বংস করা যাবে না বেশি বেশি করে গাছ লাগাতে হবে এবং পরিবেশ সুরক্ষা করতে হবে।

এ সময় প্রধান অতিথি কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিকুর রহমান বলেন, গাছ পরিবেশের অক্সিজেন সরবরাহ করে। গাছে পেরেক ঠুকলে তা গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত করে এবং ধীরে ধীরে গাছ মারা যায়। এটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। তাই গাছে পেরেক ঠোকা বন্ধ করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। আইন কার্যকর হলে কেউ এ কাজ করলে শাস্তির মুখোমুখি হবে।” গাছ পরিবেশের সবচেয়ে উপকারী বন্ধু। মানব জীবনে গাছের উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। শুধু প্রকৃতির শোভা বর্ধনেই নয়, গাছ আমাদের পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য এবং মানুষের জীবন বাঁচাতে সহায়তা করে। গাছ থেকে আমরা অক্সিজেন গ্রহণ করি, পক্ষান্তরে গাছ মানুষের শরীর থেকে বের হওয়া কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় ভূখ-ের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের দেশে সরকারি হিসাবে বন রয়েছে ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বনভূমির পরিমাণ মোট স্থলভাগের ২২.৭%।

 

আমাদের বনভূমি যেটুকু আছে তাও ধীরে ধীরে উজাড় হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন কলকারখানা, শিল্প কেন্দ্র স্থাপন, জ্বালানি, গৃহ নির্মাণ আর প্রতিষ্ঠান স্থাপনের ফলে। দেশে দেশে শিল্প স্থাপনের নামে, নগর উন্নয়নের নামে বন ধ্বংস হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে আজ অরণ্যনিধনের অসম প্রতিযোগিতা চলছে। বনভূমি উজাড়ের ফলে বায়ুমন্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ছে আর কমছে অক্সিজেনের পরিমাণ। অতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে গলে যাচ্ছে মেরু অঞ্চলের বরফ এবং বাড়ছে সমুদ্রের উচ্চতা। আঘাত হানছে জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চল। নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক ভারসাম্য। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, খরা ও নদীভাঙন। উপকূলীয় অঞ্চলে লোনা পানির অনুপ্রবেশ ঘটছে। এই অবস্থা থেকে বাঁচতে হলে, আমাদের প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগাতে হবে। তাই আসুন, আমরা যত বেশি সম্ভব গাছ লাগাই, পরিবেশ বাঁচাই এবং নিজেরা বাঁচি।

সম্পাদকীয় :

প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ গোলাম মাওলা শাওন
মোবাইল : ০১৭১১-০০৬২১৪

অফিস :

প্রধান কার্যালয় : ৩১/১ শরীফ কমপ্লেক্স ৫ম তলা পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০

মোবাইল : ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০

ই-মেইল : [email protected],  [email protected]