
নিজস্ব প্রতিবেদক
নেত্রকোণার বারহাট্টা এলাকায় গণধর্ষণের ব্যাপক আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর ঘটনার প্রধান পলাতক আসামী মোঃ সামসান মিয়া’কে বিশেষ অভিযানে গাজীপুর হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময় বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে এ পর্যন্ত অপহরণকারী, সন্ত্রাসী, এজাহারনামীয় আসামী, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, প্রতারকচক্র, ধর্ষণকারী, পর্ণোগ্রাফি বিস্তারকারী, চোরাকারবারীদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
গত ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখ বিকালে নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা থানাধীন ০১ নং আসামী মোঃ সামসান মিয়া (৩০), পিতা-মৃত সুরুজ আলী, থানা-বারহাট্টা, জেলা-নেত্রকোণা, ০২ নং আসামী মোঃ রফিকুল ইসলাম (২৮), ০৩ নং আসামী নজরুল ইসলাম (৩২), ৪ নং আসামী নুর আলম (৩১)সহ ভিকটিম’কে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জোরপূর্বক পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে নেত্রকোণা, জেলার বারহাট্টা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন যাহার মামলা নং-০৬, তারিখঃ ১২/০২/২০২৫ ইং, ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০) ৯(৩)।
উক্ত ঘটনা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারিত হয় এবং এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে এই ঘটনায় জড়িত আসামীকে গ্রেফতারের জন্য র্যাব-১ এর আভিযানিক দল বিষয়টি আমলে নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামী গ্রেফতার করার জন্য গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিঃ তারিখ বিকেলে র্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল বিশ্বস্ত সোর্স ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, সূত্রোক্ত মামলার ০১ নং আসামী জিএমপি, গাজীপুর সদর থানাধীন রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা এলাকায় আত্মগোপনে আছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে মোঃ সামসান মিয়া (৩০), পিতা-মৃত সুরুজ আলী, থানা-বারহাট্টা, জেলা-নেত্রকোণা’কে গ্রেফতার করে। এসময় গ্রেফতারকৃত আসামীর নিকট হতে ০১ টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।