মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
দীর্ঘ ১০ বছর পর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ঝালকাঠি জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারী) সকাল ১০টায় শুরু হয়ে একটানা দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।
এ নির্বাচনে বিএনপির জতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামে সভাপতি পদে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহাদাৎ হোসেন ও শহর বিএনপির সাবেক সভাপতি নাসিমুল হাসানসহ ১১টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, অপর দিকে সভাপতি পদে মো. নুরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক পদে সোহেল আকনসহ বিএনপিপন্থী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য ব্যানারে অপর একটি প্যানেল ১০টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন এবং জামায়াত সমর্থিত বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। তবে জামায়াত সাধারণ সম্পাদক পদসহ মোট ৪টি পদে আংশিক প্যানেল দেয়। সভাপতি-সম্পাদকসহ ৬টি পদে বিএনপি-সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। অপর দিকে সহ-সভাপতিসহ পাঁচটি পদে বিএনপিপন্থী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে অপর একটি প্যানেলের প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন।
এতে অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেনকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট নাসিমুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
তিনি জনসম্মুখে প্রকাশ্য ঘোষণায় জানান, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন ৫৯ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন মোট ৮৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয়তাবাদী ঐক্য প্যানেলের অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম পেয়েছেন ২৮ ভোট। সহ-সভাপতি পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট খান শহিদুল ইসলাম ৮৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট নুর হোসেন পেয়েছেন ৬০ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে পৌর বিএনপির সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট নাসিমুল হাসান ৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল প্যানেল সমর্থিত জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট বিএম আমিনুল ইসলাম পেয়েছেন ৪৪ ভোট ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট সোহেল আকন পেয়েছেন ৩৭ ভোট। যুগ্ম সম্পাদকের দুটি পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট হাসান সিকদার ৮০ ভোট ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট ফয়সাল খান ৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল সমর্থিত মিজানুর রহমান মুবিন ৫২ ও বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন ৩৯ ভোট পেয়েছেন।
অর্থ সম্পাদক পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন (৩) ১১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট ফিরোজ হোসাইন পেয়েছেন ৩০ ভোট। ভিজিল্যান্স সম্পাদক পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট মাহেব হোসেন ৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট মোফাজ্জেল হোসেন ৬৮ ভোট পেয়েছেন।
লাইব্রেরি (গ্রন্থাগার) সম্পাদক পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট আরিফ হোসেন খান ৭২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট আলআমীন (৩) ৬৩ ভোট পেয়েছেন। ভর্তি সম্পাদক পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট আক্কাস সিকদার ৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান ৩৫ ও বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট মো. কাঞ্চন মিয়া ৩১ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাহী সদস্যের দুটি পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট আনিচুর রহমান খান ৯৩ ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট মাসুম হাওলাদার ৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। অপর প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট এ.ওয়াই.এ. সাইয়েদ ৪২ ভোট ও বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট শহীদুল্লাহ জোমাদ্দার ৫৩ ভোট পেয়েছেন।