মো নাহিদুর রহমান শামীম মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি,
মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন অভিযান পরিচালনা করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার জয়রা এলাকায় হাসপাতালটিতে দুদকের সহকারি পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগের নেতৃত্বে তিন সদস্যে একটি টিম এই অভিযান পরিচালনা করেন।
তিন সদস্যের এই টিমে আরোও উপস্থিত ছিলেন, দুদকের আরেক সহকারি পরিচালক আরিফ আহমেদ ও উপ-সহকারি পরিচালক উজ্জ্বল কুমার রায় ।
এসময় অভিযানে হাসপাতালের কম্বল কেনাকাটা, রোগীদের পর্যাপ্ত সেবা না দেয়া, খাবারে অনিয়মসহ নানা অসঙ্গতির পাশাপাশি হাসপাতালের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতির কারণে ক্ষোভ ঝারেন দুদকের এই কর্মকর্তারা
ভিন্ন বিষয় ডাক্তার দের দুর্নীতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়াও পূর্বের হাসপাতালে তৈরি থেকে সকল বিষয় তুলে ধরেন এবং খতিয়ে দেখা হয়।
দুদকের অভিযান চলাকালীন তারা হাসপাতালের রান্নাঘর, গুদামঘরসহ অন্ত ও বহির্বিভাগ ঘুরে দেখেন এবং হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ সাংবাদিকদের বলেন, এই মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর হতেই রোগীদের খাবার ঔষধসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী কেনাকাটায় নানা ধরনের দুর্নীতি হয়েছে বলে তাঁদের কাছে অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাঁরা অভিযানে এসেছেন।
হাসপাতালের রোগীদের ব্যবহারের জন্য কম্বল কম দামে কিনে বেশি দাম দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। অভিযানকালে তাঁরা যেসব কম্বল দেখেছেন তার প্রতিটি ২ হাজার ৪০০ টাকায় কেনা হয়েছে। কিন্তু এসব কম্বলের দাম এত বেশি হতে পারে না। এ ক্ষেত্রে বড় ধরনের দুর্নীতি হতে পারে বলে তাঁদের ধারণা। এ ছাড়া হাসপাতালের রোগীদের খাবারের জন্য ২২০ গ্রাম মাছের টুকরো বরাদ্দ থাকলেও পরিমাপ করে ১৫৫ গ্রাম পাওয়া গেছে।
গত ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে হাসপাতালের, চিকিৎসাসামগ্রীসহ অন্যান্য জিনিসপত্র কেনার দরপত্র, (টেন্ডারের সব ডকুমেন্ট), ঠিকাদারদের নাম ও ঠিকানা, কেনাকাটার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নাম, ঠিকানা ও কর্মস্থল সম্পর্কে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে চাওয়া হয়েছে। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এগুলো পেলে দুদকে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। এসব কেনাকাটায় অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়ে থাকলে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হবে।
পরে তারা হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ সৌমেন চৌধুরীর কাছে বিভিন্ন তথ্য চেয়ে পরবর্তীতে এরকম অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান উপস্থিত সাংবাদিকদের।