চট্টগ্রামে চায়ের দোকানে মিলল ইউনিয়ন পরিষদের আসবাবপত্র

আপলোড সময় : ২৫-০১-২০২৫ ০২:১৮:৩৭ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৫-০১-২০২৫ ০২:১৮:৩৭ অপরাহ্ন



এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম 

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ার চায়ের দোকানে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে পরিষদের পাশ্ববর্তী একটি চায়ের দোকানে পরিষদের সদস্যরা এসব চেয়ার দেখতে পেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। তবে পরিষদের চেয়ার কিভাবে চায়ের দোকানে গেল তা জানে না বলে জানান চেয়ারম্যান কলিম উদ্দিন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আকতার।

পরিষদের ইউপি সদস্য রিয়াজ উদ্দিন রাশেদ জানান, মঙ্গলবার বিকেলে পরিষদের পাশে নাজিম সওদাগরের চায়ের দোকানে চা খেতে গেলে আমরা পরিষদের ব্যবহার যোগ্য চেয়ার গুলো দেখতে পাই। পরে জিজ্ঞেস করা হলে চায়ের দোকানি আমাদের জানায়, চেয়ারম্যান স্থানীয় মফিজুর রহমান নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে ১২ হাজার টাকায় চেয়ারগুলো বিক্রি করেছেন।

তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যান আগেও রোহিঙ্গাদের ভোটার হতে বিভিন্ন সনদ দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। চেয়ারগুলো বিক্রি করা মফিজুর রহমান আনোয়ারা হাইলধর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান কলিম উদ্দীনের সাথে মিলে পরিষদের চাউল আত্মসাৎ করে বিক্রি সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পরে এলাকায় তার নেতৃত্বে জোয়ার আসর বসানোর ছবি ভাইরাল হয়।

পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ইলিয়াছ মাহমুদ খোকন বলেন, বিষয়টি জানার পর আমরা খোঁজ নিচ্ছি, কিভাবে পরিষদের চেয়ার চায়ের দোকানে গিয়েছে। এটা নিয়ে আমরা পরিষদের ইউপি সদস্যা মোরশেদা বেগম, উম্মে সাদিয়া সুলতানা, ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, রিয়াজ উদ্দিন রাশেদ, মোহাম্মদ ইসমাইল, মোহাম্মদ মোজাহের মিয়া, আবুল ফয়েজের উপস্থিতিতে একটা জরুরী বৈঠকে বসেছি।

তবে হাইলধর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কলিম উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে একদিনের জন্যও আমি পরিষদে যায়নি। কিন্তু পরিষদের চেয়ার চায়ের দোকানে কেমনে গেল এটা আমারও প্রশ্ন। পরিষদে চেয়ার আমি আরও কিনে দিয়েছি। বিক্রি করার তো প্রশ্নেই আসে না। প্যানেল চেয়ারম্যান বিষয়টি জানতে পারবেন।  জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আকতার বলেন, ‘বিষয়টি এখনো আমাকে কেউ বলেনি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



 

সম্পাদকীয় :

প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ গোলাম মাওলা শাওন
মোবাইল : ০১৭১১-০০৬২১৪

অফিস :

প্রধান কার্যালয় : ৩১/১ শরীফ কমপ্লেক্স ৫ম তলা পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০

মোবাইল : ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০

ই-মেইল : [email protected],  [email protected]