মোঃ অপু খান চৌধুরী।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের বালিনা এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ পাঁচজন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ( ২৩ জানুয়ারি ) সকালে হামলার ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের বালিনা এলাকার কাজী গোলাম রব্বানী গংদের সঙ্গে একই বাড়ির কাজী মোঃ আমজাদ হোসেন গংদের দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে গ্রাম্য সালিশ বৈঠক হলেও কাজী গোলাম রব্বানী গংরা তা মানেননি। সালিশ বৈঠক না মেনে বিভিন্ন সময়ে কাজী মোঃ আমজাদ হোসেন গংদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অশালীন গালমন্দ করতো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ জানুয়ারি সকালে কাজী গোলাম রব্বানী, মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে কাজী আবু তাহের, কাজী গোলাম রব্বানীর ছেলে কাজী রেদোয়ান আহাম্মেদ রুবেল, মৃত কাজী আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে কাজী তাজুল ইসলাম, মৃত কাজী আব্দুল খালেকের ছেলে কাজী জাহাঙ্গীর আলম, কাজী রফিকুল ইসলাম, মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে কাজী শাহজালাল, মৃত কিফায়েতুল্লার ছেলে কাজী মোঃ আলাউদ্দিন, কাজী আবু তাহেরের ছেলে কাজী মোঃ বাদলসহ অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জন হাতে ধারালো দা, লোহার রড, লাঠি-সোটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কাজী মোঃ আমজাদ হোসেন গংদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তাদের হামলায় কাজী মোঃ আমজাদ হোসেন (৬০), কাজী মোঃ জাকির হোসেনের ছেলে কাজী মোঃ ইয়াছিন (২২), মৃত কাজী আব্দুল আলিমের ছেলে কাজী ইমাম হোসেন (৬৩), কাজী মোঃ আমজাদ হোসেনের স্ত্রী কাজী মোসাঃ স্বপ্না আক্তার (৩৭), কাজী জমির হোসেনের ছেলে কাজী মোঃ শাহপরান (৫০) গুরুতর আহত হয়।
আহত কাজী মোঃ আমজাদ হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা আমাদের ওপর নানাভাবে অন্যায় অবিচার ও জোরজুলুম করে আসছে। ঘটনার দিন তারা পরিকল্পিতভাবে ধারালো দা, লোহার রড, লাঠি-সোটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা আমাদের পাঁচজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে আমাদের তিনজন ভর্তি আছে, আর বাকি দুইজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। আমরা এ ঘটনায় আদালতে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা এ হামলার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।